বড় জয়ের কাছে বাংলাদেশ
শেষ দিনে বাংলাদেশের সমীকরণ ছিল সহজ- জিম্বাবুয়ের ৭ উইকেট তুলে নেওয়া। সেদিন থেকে অনভিজ্ঞ ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সারা দিন টিকে থাকার কঠিন চ্যালেঞ্জ স্বাগতিকদের সামনে। সে পথে যাওয়া যে তাদের জন্য অনেক দূরের ব্যাপার বোঝা গেল প্রথম সেশনেই। ৪ উইকেট তুলে নিয়ে জয়টা এখন সময়ের ব্যাপার বানিয়ে দিয়েছে মুমিনুল হকের দল।
রোববার হাররে টেস্টের পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। সকালে সেশনে তারা তুলেছে কেবল ৩৬ রান, হারিয়েছ ৪ উইকেট। এরমধ্যে দুটি নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। বাকি ৩ উইকেট তুলে নিতে খুব বেশি বেগ পাওয়ার কথা না।
অথচ প্রথম ঘণ্টা অবশ্য পার করে দিয়েছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডোলান্ড টিরিপানো আর ডিওন মেয়ার্স। কিন্তু প্রথম ঘণ্টা পার হওয়ার পরই নামে ধস। মেয়ার্স মিরাজের বলে ফ্লিকের মতো করে ক্যাচ দেন শর্ট মিড অনে।
এরপর টিমসেন মারুমাকেও এলবিডব্লিউ করে বিদায় করেন তিনি। বলের ডেভিয়েশন দেখে মনে হয়েছে মারুমার বলটা টার্ন করে লেগ স্টাম্প মিস করার সম্ভাবনা ছিল। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও কোন রান করতে পারেননি তিনি।
প্রথম ইনিংসের মতো এবার রয় কাইয়াও রানের খাতা খুলতে পারেননি। তবে তিনিও কিছুটা দুর্ভাগ্যের শিকার। রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে তাসকিনের মিডল স্টাম্প লাইনে পড়া বল ভেতরে ঢুকে মিস করে যাচ্ছিল লেগ টাম্প। কিন্তু আম্পায়ার মরিস এরামুস তুলেন আউটের আঙুল। রিভিউ না থাকায় আরেকবার পুড়ে স্বাগতিকরা।
এরপর রেজিস চাকাভাকে ভেতরে ঢোকা দারুণ এক বলে বোল্ড করে দিয়ে লাঞ্চের আগেই শেষের সম্ভবনা তৈরি করেন তাসকিন। রিভার্স স্যুয়িংয়ে ভিক্টর নিয়াউচিকেও বোল্ড করেছিলেন। কিন্তু নো বলের কারণে বেঁচে যান নিয়াউচি। শেষ পর্যন্ত কোনমতে সেশনটা পার করে জিম্বাবুয়ে।
এই ম্যাচ শেষ সেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা এখন খুবই ক্ষীণ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৬৮
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৭৬
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২৮৪/১ (ইনিংস ঘোষণা)
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস : ৬৭ ওভারে ১৭৬/৭ (লক্ষ্য ৪৭৭) (শুম্বা ১১, কাইটানো ৭, টেইলর ৯২, মেয়ার্স ২৬, টিরিপানো ২৭*, মারুমা ০, কাইয়া ০, চাকাভা ১, নিয়াউচি ২* ; সাকিব ১/৩১, মিরাজ ৩/৫২, তাসকিন ৩/৫৪, ইবাদত ০/১৯, মাহমুদউল্লাহ ০/৯)
Comments