ভারতের বিপক্ষে যুবাদের মামুলি পুঁজি

গত যুব বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবার কোয়ার্টার ফাইনালে সেই ভারতকে পেয়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না ব্যাটসম্যানরা। টেনেটুনে একশো পেরিয়েই থেমেছে রাকিবুল হাসানের দল।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১১ রানে। দলের হয়ে দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন কেবল তিনজন। সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে মেহরুব হাসানের ব্যাটে।
সম্মিলিত বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়া ভারতের সফল বোলার রবি কুমার। বাঁহাতি এই পেসার ১৪ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় যুবারা। রবি কুমারের ফুলার লেন্থের বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন মাহফিজুল ইসলাম। ৬ষ্ঠ ওভারে আবার আঘাত হানেন রবি। এবার তার শিকার আরেক ওপেনার ইফতেখার হোসেন। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ১৭ বলে ১ রান করে পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইফতেখার।
প্রান্তিক নওরোজ নাবিল হতাশ করেন আরও একবার। রবির বলেই স্লিপে সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
আইচ মোল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছিলেন আরিফুল ইসলাম। জুটিতে ২৩ রান যোগ করার পর বিদায় আরিফুলের। বাঁহাতি স্পিনার ভিকি ওয়াস্টওয়ালের বলে কিপারের হাতে জমা পড়েন তিনি। খানিক পরই কিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ফাহিমের আত্মাহুতি। ক্রিজে এসেই ভিকির বলে রিভার্স সুইপ গিয়ে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তিনি। ৩৭ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট।
আইচের সঙ্গে মিলে অধিনায়ক রাকিবুল হাসান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। দলের ৫০ রানে অফ স্পিনার কুশাল থাম্বে এসে থামান থাকে। খানিক পর থিতু হওয়া আইচ রান আউটে কাটা পড়লে ৫৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় যুবার।
এরপর আশিকুর রহমানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মেহরুব। ৮ম উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৫০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করে আঙ্ক্রিশ রাঘুভানশির বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি। তার আউটের পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি যুবাদের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৩৭.১ ওভারে ১১১ ( মাহফিজুল ২, ইফতেখার ১, প্রান্তিক ৭, আইচ ১৭, ফাহিম ০, আশিকুর ১৬, সাকিব ২, রিপন ২* ; হাঙ্কারকার ১/১৯, রবু ২/১৪, রাজ ০/১৬, ভিকি ২/২৫, কুশাল ১/২৭, রাঘুভানসি ১/৪)
Comments