ভারতের বিপক্ষে ৬২ রানে গুটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিব্রতকর রেকর্ড

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের টার্নিং উইকেটে শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে জোর ধাক্কা দিলেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর সহায়ক পরিবেশে অনুমিতভাবেই জ্বলে উঠলেন ভারতের স্পিনাররা। তারকা অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সামনে থেকে দিলেন নেতৃত্ব। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন আক্সার প্যাটেল ও জয়ন্ত যাদব। জবাবহীন কিউইরা টপাটপ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে গিয়ে গড়ল বিব্রতকর রেকর্ড।
শনিবার মুম্বাইতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভারতের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে নিউজিল্যান্ড। চা বিরতির পর ২৮.১ ওভারে তাদের প্রথম ইনিংস থেমেছে কেবল ৬২ রানে। এতে স্বাগতিকরা পেয়েছে ২৬৩ রানের বিশাল লিড।
টেস্টে ভারতের বিপক্ষে এটাই কোনো দলের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা। রেকর্ড হয়েছে আরও একটি। এই সংস্করণের ক্রিকেটে ভারতের মাটিতে এত কম রানে আগে কখনও কোনো দল গুটিয়ে যায়নি।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে থামার আগের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে নাগপুরে ৩৩.১ ওভারে তারা অলআউট হয়েছিল ৭৯ রানে। আর ভারতের মাটিতে সর্বনিম্ন রানে ইনিংস শেষ হওয়ার আগের নজিরটি গড়েছিল ভারতই। ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০.৫ ওভারে তাদেরকে থামিয়েছিল ৭৫ রানে।
সফরকারীদের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেওয়া সিরাজ ৩ উইকেট নেন ১৯ রানে। অশ্বিন তছনছ করে দেন প্রতিপক্ষের মিডল ও লোয়ার অর্ডার। ৪ উইকেট নিতে তার খরচা মোটে ৮ রান। এছাড়া, বাঁহাতি স্পিনার আক্সার ১৪ রানে ২ ও অফ স্পিনার জয়ন্ত ১৩ রানে পান ১ উইকেট।
স্বাগতিকদের দাপটের বিপরীতে নিউজিল্যান্ড গড়তে পারেনি বলার মতো কোনো জুটি। সপ্তম উইকেটে টম ব্লান্ডেল ও কেইল জেমিসনের ১৯ বলে যোগ করা ১৫ রানই তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি। দলটির মাত্র দুই ব্যাটার পৌঁছান দুই অঙ্কে। আটে নামা জেমিসন ৩৬ বলে ১৭ রান করেন। অধিনায়ক টম ল্যাথাম ওপেনিংয়ে নেমে করেন ১৪ বলে ১০ রান।
চা বিরতির আগে ভারত নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৩২৫ রানে। আগের দিনের ৪ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। ভারতের ১০ উইকেটের সবগুলো পান নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল। ইংল্যান্ডের অফ স্পিনার জিম লেকার ও ভারতের লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলের পর ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেন তিনি। একটি জায়গায় অবশ্য তিনি অনন্য। বাঁহাতি হিসেবে তিনিই প্রথম এই কীর্তি গড়েন।
Comments