ভুলক্রমে ভারতের কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শাস্ত্রী!
চার বছরের বেশি সময় ভারতের প্রধান কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী। তার অধীনে কোনো বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দারুণ সাফল্য উপভোগ করে দলটি। বিশেষ করে, বিদেশের মাটিতে তাদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। অনেকের মতে, দেশটির ক্রিকেট সংস্কৃতিতে শাস্ত্রী রাখেন বৈপ্লবিক প্রভাব। কারণ, ভারতের দুর্ধর্ষ পেস আক্রমণ গড়ে ওঠে তার সময়কালে। তবে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা জানিয়েছেন, তিনি নাকি ভুলক্রমে পেয়েছিলেন কোচের দায়িত্ব!
২০১৭ সালের জুলাইতে ভারতের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় শাস্ত্রীকে। তাকে বেছে নিয়েছিলেন ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বর্তমান প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন টেন্ডুলকার ও ভিভিএস লক্ষ্মণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি। এরপর ২০১৯ সালের অগাস্টে বাড়ানো হয় তার চুক্তির মেয়াদ। গত বছরের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে শাস্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয় রাহুল দ্রাবিড়ের নাম। এই দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভারতের জাতীয় একাডেমির প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন দ্রাবিড়।
শাস্ত্রীর কোচিংয়ে গত বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেললেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতেও ব্যর্থ হয় তারা। এর আগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতেও কিউইরা ছিটকে দিয়েছিল ভারতকে। তবে শাস্ত্রীর অধীনেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুটি ও ইংল্যান্ডের মাটিতে একটি টেস্ট সিরিজ জেতে দলটি।
ভারতের ক্রিকেটে ইতিবাচক প্রভাব রাখলেও ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোববার শাস্ত্রী বলেছেন, প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল না তার, 'আমার পর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাহুলের থেকে যোগ্য ব্যক্তি আর কেউ ছিল না। আমি ভুলক্রমে কোচের চাকরিটি পেয়েছিলাম। আমি ধারাভাষ্য কক্ষে ছিলাম এবং আমাকে কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এরপর আমার ছোট ভূমিকা আমি পালন করেছি।'
শাস্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, দ্য ওয়াল খ্যাত ইতিহাসের অন্যতম ব্যাটার দ্রাবিড় ভারতের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন, 'কিন্তু রাহুল এমন একজন যে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এসেছে এবং কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছে। সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিল। তারপর জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছে। আমার মনে হয়, দল তার কথায় সাড়া দিতে শুরু করলে সে কাজটা উপভোগ করবে।'
ভারত ক্রিকেট দলের দিকে দেশটির গণমাধ্যমের তীক্ষ্ণ নজর থাকে সব সময়। তবে দায়িত্বে থাকাকালে সেটা নিয়ে খুব বেশি বিচলিত না থাকার দাবি করেছেন শাস্ত্রী, 'একদম শেষে যে বিষয়টা নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম, সেটা হলো গণমাধ্যম। যদি ছেলেরা ভালো পারফর্ম করে, তাহলে গণমাধ্যম সেভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাবে যেভাবে আপনি চাইবেন। কিন্তু যদি ভালো না করেন, তাহলে তাদের আপনাকে তিরস্কার করার সব অধিকার আছে। আর যদি ভালো করেন, তাহলে আপনার মিলবে প্রশংসা।'
Comments