মঈনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড

জেসন রয় ও মঈন আলীর ফিফটিতে বড় পুঁজি পেল ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে বিস্ফোরক ইনিংস খেলা ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মঈন বল হাতেও উঠলেন জ্বলে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন রিস টপলি, ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদরা। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরল ইংলিশরা।
শনিবার রাতে ব্রিজটাউনে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ রানে জিতেছে সফরকারীরা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান তোলে তারা। জবাবে ক্যারিবিয়ানরা পুরো ওভার খেলে থামে ৫ উইকেটে ১৫৯ রানে।
ওয়েন মরগ্যান চোটে পড়ায় অধিনায়কত্ব পাওয়া মঈন ২৮ বলে খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। ১ চারের সঙ্গে ৭ ছক্কা হাঁকান তিনি। এর মধ্যে জেসন হোল্ডারকেই মারেন টানা ৪ ছয়। পরে অফ স্পিনে ৪ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট দখল করেন তিনি। বলাই বাহুল্য, ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতেই।
শুরুতেই টম ব্যান্টনের উইকেট খোয়ানোর পর ওপেনার রয় ও জেমস ভিন্স মিলে গড়েন ৫৭ বলে ৮৫ রানের জুটি। তাতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। উইন্ডিজ অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে রয় ফিরলে ভাঙে জুটি। তিনি ৪২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে করেন ৫২ রান। পরের ওভারে আকিল হোসেন বিদায় করেন ভিন্সকে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৪ রান।
লিয়াম লিভিংস্টোনকে অন্য প্রান্তে রেখে ক্যারিবিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হন মঈন। চারের চেয়ে ছক্কা মারাতেই বেশি মনোযোগ ছিল তার। চতুর্থ উইকেটে আসে ৩৪ বলে ৬৫ রান, যার সিংহভাগ ছিল মঈনের অবদান। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব্যাটার আউট হন শেষ ওভারে। হোল্ডারের বলে লং অনে তার ক্যাচটি নেন রোমারিও শেফার্ড।
পেস অলরাউন্ডার হোল্ডার ৩ উইকেট নিলেও ছিলেন খরুচে। তার ৪ ওভার থেকে ইংল্যান্ড আদায় করে নেয় ৪৪ রান। শেফার্ড ১ উইকেট নিতে ৩ ওভারে দেন ৪০ রান। সতীর্থদের রান দেওয়ার ভিড়ে পোলার্ড করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তিনি ৪ ওভারে ২৩ রানে পান ১ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় কাঙ্ক্ষিত শুরু পায় স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.২ ওভারে ৬৪ রান যোগ করেন ব্র্যান্ডন কিং ও কাইল মায়ার্স। আক্রমণে গিয়ে তাদের দুজনকে আলাদা করে ইংল্যান্ডকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দেন মঈন। ২৩ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৪০ রান করেন মায়ার্স। মঈনের পরের ওভারে কিং আউট হন ২৭ বলে ২৬ রানে।
মায়ার্সের বিদায়ের পর রান তোলার গতি কমে যায় উইন্ডিজের। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে সবমিলিয়ে ৩৭ বলে আসে কেবল ৩৩ রান। লড়াই থেকে তারা যখন প্রায় ছিটকে গেছে, তখন বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন হোল্ডার। পঞ্চম উইকেটে পোলার্ডের সঙ্গে ২৩ বলে ৪৭ রান যোগ করেন তিনি। কিন্তু তার আউটের পর শেষদিকের কঠিন সমীকরণ মেলানো হয়নি ক্যারিবিয়ানদের।
হোল্ডার ২৪ বলে ৩৬ রান করেন ২ চার ও ৩ ছক্কায়। তার উইকেট নেওয়া টপলি ৪ ওভারে দেন মোটে ২১ রান। ডেথ ওভারে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। মাঝের ওভারগুলোতে রানের গতি আটকে দেওয়া রশিদ ১ উইকেট নেন ২৮ রানে।
সিরিজে সমতা থাকায় একই ভেন্যুতে হতে যাওয়া পঞ্চম টি-টোয়েন্টি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে রবিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায়।
Comments