মন্থর ফিফটিতে রানে ফিরলেন কোহলি

শনিবার ব্র্যাভোর্ন স্টেডিয়ামে গুজরাটের বিপক্ষে কোহলি ও রজত পাতিদারের ফিফটিতে ১৭০  রান করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
Virat Kohli
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

কোনভাবেই তার ব্যাটে রান মিলছিল না। টানা দুই ম্যাচে ফিরেছিলেন প্রথম বলে। আইপিএলে এবার আগের নয় ম্যাচে আউট হয়েছেন এক অংকের ঘরে । অবশেষে বিরাট কোহলি পেলেন রান। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে দশম ম্যাচে এলে পেলেন ফিফটির দেখা। যদিও ফিফটিটি এসেছে বেশ মন্থর গতিতে।

শনিবার ব্র্যাভোর্ন স্টেডিয়ামে গুজরাটের বিপক্ষে কোহলি ও রজত পাতিদারের ফিফটিতে ১৭০  রান করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওপেন করতে নেমে ৪৫তম বলে আসরের প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন আইপিএলের সফলতম ব্যাটসম্যান। ফিফটির পর অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেননি।

৫৩ বলে ৫৮ রান করে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। অতি সতর্ক পথে হাঁটা কোহলি রানে ফিরতে মেরেছেন ৬ চার আর ১ ছক্কা।

অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি কোন রান না করেই ফিরে যাওয়ার পর রজত পাতিদারকে নিয়ে জুটি গড়েন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৭৪ বলে ৯৯ রান।  যাতে আগ্রাসী ছিলেন রজতই। ৩২ বলে ৫২ করে ফিরে যান এই তরুণ। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ১৫ বলে ১৯ রানের জুটির পর বিদায় হয় কোহলির।

টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন প্রদীপ সাঙ্গওয়ান।

এরপর ধীরে ধীরে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকেন কোহলি। আরেক পাশে রজত দ্রুত রান আনতে থাকায় কোহলি ছিলেন ভারমুক্ত। সময় নিয়ে থিতু হতে পেরেছেন তিনি। তবে ফিফটির পর তার কাছ থেকে দ্রুত রান আনার চাহিদা ছিল দলের। সেটা শেষ পর্যন্ত করতে পারেননি।

কোহলির রানে ফেরা বেঙ্গালুরুর জন্য স্বস্তির খবর। আড়াই বছর ধরে কোন ধরণের ক্রিকেটেই সেঞ্চুরি নেই তার ব্যাটে। আইপিএলে নেমে প্রথম দুই ম্যাচে দুবার ৪০ এর বেশি করলেও এরপর টানা পাঁচ ম্যাচে ছিলেন ব্যর্থ। ক্রিকেট থেকে থাকে বিরতি নেওয়ার কথাও বলেছিলেন সাবেকদের কেউ কেউ।

কোহলি সেসব কথায় কান না দিয়ে খেলে যাচ্ছেন টানা। এদিন তাকে প্রেরণা যোগাতে গ্যালারিতে ছিলেন  স্ত্রী আনুশকা শর্মা। শেষ পর্যন্ত গত কয়েক ম্যাচের মতো হতাশ করেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago