মুশফিক না থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া ইয়াসির

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সাক্ষাতকারে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন নিজের প্রত্যাশা আর লক্ষ্যের কথা।
Yasir Ali Chowdhury
ফাইল ছবি: স্টার

দলের সমন্বয়ের কারণে ভালো পারফর্ম করেও একাদশে জায়গা হয় না ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বির। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তার আক্ষেপ করার কারণ হয়ত থাকবে না। মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতিতে মিডল অর্ডারে খেলবেন তিনি। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সাক্ষাতকারে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন নিজের প্রত্যাশা আর লক্ষ্যের কথা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা আপনার জন্য নিশ্চয়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ?

ইয়াসির আলি: শুধু আমার জন্য না, দলের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ভাল করতে আমরা মরিয়া, আমরা জানি কাজটা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী নিজের সেরাটা দিয়ে দলে অবদান রাখব।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতিতে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আপনাকে মিডল অর্ডারে দেখছেন। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আপনার চিন্তাটা কি?

ইয়াসির: টেস্ট দলে এটা একটা বড় বদল। কারণ আমি মুশফিক ভাইয়ের জায়গায় খেলব। মুশফিক ভাইয়ের মতো একজনের জায়গা পূরণ করা সহজ না, যখন কিনা বিপুল প্রত্যাশা থাকে সবার। আমার নিজের একটা প্রত্যাশা আছে। যেটা আমি পূরণ করতে চাই। এই মুহূর্তে যেকোনো জায়গায় চাইলেই ব্যাট করতে পারব না। টিম ম্যানেজনেমেন্টের চাহিদা মেনে চলতে হবে। কিন্তু যদি আমাকে উপরে সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। কোচ আমাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে বলেছেন।

ক্যারিয়ারে শুরুটা আপনার ভাল। টেকনিক আর টেম্পারমেন্টের পরিচয় দিয়েছেন। আপনার কি মনে হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলো কাড়তে একটা বড় ইনিংস দূরে আছেন?

ইয়াসির: সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলো ছড়াতে চায়। আমিও সেদিকে তাকিয়ে আছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে কঠিন কন্ডিশনে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। এটা করতে পারলে ব্যাটার হিসেবে বড় কিছু হবে। বড় ইনিংস অবশ্যই সামনে এগুনোর পথে বিশ্বাস যোগায়। আমি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে দলের দাবি অনুযায়ী খেলতে চাই।

ক্যারিবিয়ানে পেস বান্ধব উইকেটে খেলা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে টেস্টে। আপনি নির্দিষ্ট কোন জায়গায় কাজ করার তাগিদ বোধ করছেন কিনা?

ইয়াসির: জেমি সিডন্সের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে প্রথম টেস্টের ভেন্যু অ্যান্টিগা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ওটা একটু মন্থর উইকেট হবে। নতুন বলের চেয়ে পুরনো বল সামলানো একটু কঠিন হবে। আমি সেভাবেই কাজ করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডিউক বলে খেলা হয়, কোকাবুরা বলে হয় না। পুরনো বলও তাই মুভ করে। এইসব ছোটখাটো বিষয় সেখানে মাথায় রাখা লাগবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা চিন্তা করার সময় প্রথম কোন জিনিসটা মাথায় আসে?

ইয়াসির: প্রথম যেটা মাথায় আসে ২০১২ সালে যুবদলে সেখানে ছয়টা ম্যাচে আমাকে  ড্রিকংস নিয়ে মাঠে যাওয়া আসা করতে হয়েছিল (বদলি ফিল্ডার)। এখন আমি খেলার প্রত্যাশা নিয়ে যাচ্ছি। আমি পারফর্ম করতে মুখি আছি। যখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার সুযোগ পাই নিজেকে নিংড়ে দিতে প্রস্তুত আছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বললে আরেকটা বিষয় মাথায় আসে, সেটা হচ্ছে ব্রায়ান লারা। আমি ছোটবেলা থেকে লারার খুব ভক্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলা নিয়ে তাই আমি রোমাঞ্চিত।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago