মেন্ডিসের ফিফটির পর শেষ ওভারে রোমাঞ্চে জিতল শ্রীলঙ্কা

দারুণ বল করে অস্ট্রেলিয়াকে নাগালের মধ্যে আটকে রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে রান তাড়ায় নেমে শুরুতে উইকেট হারানোয় তাদের কাজটা হয়ে যায় কঠিন। হাল ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত টিকে ফিফটি করে দলের ত্রাতা হন কুশল মেন্ডিস। চারিথা আসালাঙ্কা ছোট ইনিংসে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মেন্ডিসের সঙ্গে বড় জুটির পর শেষ ওভারে বাজিমাত করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা।
মেলবোর্নে রোববার পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অবশ্য স্বাগতিকরাই জিতল ৪-১ ব্যবধানে। এদিন অস্ট্রেলিয়ার করা ১৫৪ রান ১ বল আগে পেরিয়ে জয় পায় সফরকারীরা।
ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। ১৯তম ওভার থেকে মেন্ডিসের মারা এক বাউন্ডারির ফলে লঙ্কানরা আনতে পারে ১১ রান। শেষ ওভারের সমীকরণ ছিল ৯ রানের। কেইন রিচার্ডসনের প্রথম বলটি ডট খেলেন শানাকা। দ্বিতীয় বল থেকে আসে ২ রান। তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কায় বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেন তিনি। ম্যাচ চলে আসে মুঠোয়। তবে জয়ী রান নেওয়ার আগে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩১ বলে ৩৫ করা লঙ্কান অধিনায়ক। চামিকা করুনারত্নে পঞ্চম বলে এসে সেরে ফেলেন কাজ।
১৫৫ রান তাড়ায় ২৪ রানেই পাথুম নিশানকা ও কামিল মিস্রার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর চারিথা আসালাঙ্কা নেমে ঝড় তুলেছিলেন। মাত্র ৯ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২০ রান করে রানার চাকায় গতি আনেন তিনি। অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হয়ে ইনিংসটা যদিও বড় হয়নি।
এক প্রান্তে টিকে থাকা মেন্ডিসকে খানিকক্ষণ সঙ্গ দেন জানিথ লিয়াঙ্গে। তিনি রান আউট হলে বেড়েছিল চাপ। তবে মেন্ডিস-শানাকা মিলে বাকি সব শঙ্কাই দূর করে দেন। পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৬৪ বলে ৮৩ রান। ওপেন করতে নামা মেন্ডিস ৫৮ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় করেন ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানেই দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও বেন ম্যাকডারমটকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। দুশমন্ত চামিরার বলে ক্যাচ দেন ৮ রান করা ফিঞ্চ। প্রভিন জয়াবিক্রমার শিকার হন ৩ রান করা ম্যাকডারমট।
তিনে নামা জস ইংলিস আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মিলে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ইংলিসকে নিজের বলে ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন চামিরা।
মার্কাস স্টয়নিসও টিকতে পারেননি। বাকি পথে অস্ট্রেলিয়ার রান বাড়িয়েছেন মূলত কিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড। ২ ছয়, ২ চারে তার ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে দেড়শো ছাড়ায় অজিরা। যদিও মেন্ডিস-শানাকাদের ব্যাটে যা আর যথেষ্ট থাকেনি।
Comments