ম্যাক্সওয়েলের কাছে হারল শ্রীলঙ্কা

সপ্তম উইকেট হিসেবে যখন প্যাট কামিন্স হন, তখনও লঙ্কা বহু দূর। জিততে হলো তখনও করতে হতো ৫৫ রান। হাতে মাত্র তিন উইকেট। অজিদের আশা উইকেটে সেট ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এক প্রান্ত আগলে রেখে ঝড় তুলতে শুরু করেন তিনি। সেই ঝরে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত দলকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দিয়েই থামেন ও অস্ট্রেলিয়ান।
মঙ্গলবার পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০০ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৫ রানেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর স্টিভ স্মিথকে নিয়ে ৬৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অজি অধিনায়ককে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা। এর এক বল পরেই নামে বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৃষ্টির পর অজিদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৪ ওভারে ২৮২ রান।
বৃষ্টির পর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন স্মিথ। স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। অবশ্য ১৫ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটারকে আউট করে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। তবে পঞ্চম উইকেটে আলেক্স কেয়ারির সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে সে ধাক্কা সামলে নেন মার্কাস স্টোয়নিস।
এরপর জাদু দেখান হাসারাঙ্গা। জুটি ভেঙে এ দুই ব্যাটারকে ফেরান। সঙ্গে তুলে নেন প্যাট কামিন্সকেও। তাতে হারের শঙ্কা পেয়ে বসে অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু ভিন্ন পণ করেই নেমেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। দারুণ এক ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। ৫১ বলের ইনিংসে সমান ৬টি করে চার ও ছক্কা মারেন এ ব্যাটার। ৬০ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫৩ রান করেন স্মিথ। এছাড়া সমান ৪৪ রান করেন করে আসে ফিঞ্চ ও স্টয়নিসের ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৫৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান হাসারাঙ্গা।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। ১১৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও দানুস্কা গুনাথিলাকা। এরপর অবশ্য ৩ রানের ব্যবধানে এ দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে অজিরা। দলীয় ১৩৪ রানে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও তুলে নেয় দলটি।
চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুসল মেন্ডিস। স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। এরপর আসালাঙ্কা আউট হলে সপ্তম উইকেটে ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে ৪২ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মেন্ডিস। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি মিলে দলটির।
অবশ্য শেষ জুটিতে হাসারাঙ্গার অবদানই বেশ। মাত্র ১৯ বলে খেলেন ৩৭ রানের ক্যামিও। ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মেন্ডিস। ৮৭ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। যদিও ব্যক্তিগত ১৭ রানেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন। লংঅনে তার ক্যাচ মিস করেন মার্নাস লাবুশেন।
৬৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা। আরেক ওপেনার গুনাথিলাকা ৫৫ রান করেন ৫৩ বলে। এছাড়া আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাস্টন অ্যাগার ও লাবুশেন।
Comments