মুমিনুলদের কীসের এত তাড়া?

Mahmudul Hasan Joy
স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরছেন অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ম্যাচে ফল বের করা কঠিন। পাকিস্তান তাই ৩০০ স্পর্শ করেই ইনিংস ছেড়ে দিল। কিন্তু চা-বিরতির আগে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামল অদ্ভুত এক অ্যাপ্রোচে। স্বাগতিকদের ব্যাটসম্যানদের দেখে বোঝা দায় এটা টেস্ট ম্যাচ কিনা!

মঙ্গলবার মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের চা-বিরতির আগে ১০.১ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ। তাতে ২২ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট। বিরতি থেকে ফিরে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও দেন আত্মাহুতি। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, দলীয় ৩১ রানে বাংলাদেশ তাই হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। উইকেটগুলো পড়ার ধরনই তৈরি করেছে বড় প্রশ্ন।

আলো কম থাকায় শাহিন শাহ আফ্রিদি এক ওভার বল করার পরই আর পেসার আনতে পারেনি পাকিস্তান। এমন কন্ডিশনে শাহিন-হাসান আলিদের ঝাঁজ থেকে বাঁচার স্বস্তি পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম-মাহমুদুল হাসান জয়রা। কিন্তু নিজেরাই অস্বস্তি বাড়ালেন উদ্ভট ধরনে ব্যাট করে।

অভিষিক্ত জয় অফ স্পিনার সাজিদ খানের বলটা একটু এগিয়ে এসে পুশ করতে গিয়েছিলেন। বলের বাউন্স রিড করতে পারেননি। স্লিপে যায় তার সহজ ক্যাচ। ৭ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই তরুণ।

তার সঙ্গী সাদমানের সুনাম টেম্পারমেন্টের কারণে। উইকেটে পড়ে থাকার আদর্শ পরিস্থিতি ছিল তার সামনে। সেভাবে শুরুতে খেলছিলেনও। হুট করেই ধৈর্যচ্যুতি তার।  সাজিদের লাফানো এক বল অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন। যথেষ্ট মনঃসংযোগ না নিয়েই কাট করতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ২৮ বলে থামলেন ৩ রানে।

সেশনের একদম শেষ বলে অধিনায়ক মুমিনুল হকের আউট খুবই দৃষ্টিকটু। ক্রিজে এসে প্রান্ত বদল করলে সাবলীল থাকা যায়। কিন্তু টেস্টে সেটা তো হতে হবে নিরাপদ পথে! মুমিনুল সাজিদের বল অফ সাইডে ঠেলে দিয়েই ছোটেন। পয়েন্টের ফিল্ডার হাসান বল ধরে সরাসরি থ্রোতে রান আউটে ছাঁটেন তাকে। অহেতুক এই ঝুঁকি প্রশ্ন তোলে, আসলে কোন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ?

চা-বিরতির পর ফিরে মুশফিক সবাইকে যেন ছাড়িয়েই যান। সাজিদের বলে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন আম্পায়ার্স কলে। পরে ভেতরে ঢোকা বলে পাঞ্চ করে মারেন বাউন্ডারি। ঠিক পরের বলেই স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা দেন ফাওয়াদ আলমের হাতে। ৩১ রানেই পড়ে ৪ উইকেট। মুশফিকের শট দেখে মনে হলো, বাংলাদেশ দ্রুত কোনো রান তাড়ায় নেমেছে!

সহায়ক কন্ডিশনে পেসাররা বল করার সুযোগ না পেলেও পাকিস্তানের দুই স্পিনার সাজিদ ও নুমান আলি ছিলেন বেশ তেতে। যে উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজরা ছিলেন নির্বিষ, সাজিদকে সেখানেই বাড়তি বাউন্স আদায় করেন। ফ্লাইট দেন, ঝুলিয়ে করা বলগুলো বাউন্স পায়, টার্নও মেলে। কম আলোয় শেষ সেশনে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষায় তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank to intervene in forex market to curb volatility

The move was announced in BB’s latest monetary policy statement for the first half of FY26

46m ago