তিন উইকেট ফেলে বাংলাদেশের দারুণ সেশন

আঁটসাঁট বল করে রান আটকে দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের দ্রুত তিন উইকেট তুলল বাংলাদেশ। হতাশার প্রথম সেশন শেষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচে নিজেদের অবস্থায় ফের শক্ত করল মুমিনুল হকের দল।
শুক্রবার হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২৪৪ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। এই সেশনে তারা তুলতে পেরেছে মাত্র ৩৫ রান, হারিয়েছে ৩ উইকেট। যার দুটিই নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, অপরটি শিকার করেন দারুণ বল করতে থাকা তাসকিন আহমেদ। তবে এখনো অপরাজিত আছেন ওপেনার তাকুদজয়নাশে কাইটানো। ২৮২ বল খেলে ৮২ রানে অপরাজিত তিনি। ১০ রান নিয়ে তার সঙ্গে ব্যাট করছেন কিপার ব্যাটসম্যান রেজিস চাকাভা।
লাঞ্চের পর নেমে একদম ভিন্ন ভূমিকায় দেখা যায় বাংলাদেশের বোলারদের। উইকেটে তেমন কিছু নেই তাই রান আটকে চাপ বড়ানোর দিকে মন দেন দুই স্পিনার সাকিব আর মেহেদী হাসান মিরাজ।
তাতে কাজও হয়। রানের গতি কমে যাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠেন ডিয়ন মেয়ার্স। কাইটানোর মতো স্থির থাকতে পারেননি তিনি। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি তাই আর বিপদের কারণ হয়নি বাংলাদেশের। মেয়ার্স অবশ্য আউট হন সাকিবের বাজে বলে। চাপ সরাতেই লেগ স্টাম্পের বাইরের বল উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে। ৬৫ বলে ২৭ করেন এই অভিষিক্ত।
পাঁচে নামা টিমসেন মারুমাও চাপে ঘায়েল। ক্রিজে এসে রানের খাতা খুলতেই পারছিলেন না। তাসকিনের বলে অনেকবার পরাস্ত হতে দেখা যায় তাকে। রান করতে না পারার চাপে এক সময় হয়ে যান অস্থির। সাকিবের নিরীহ এক বলে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। হয়ে যান পরিষ্কার এলবিডব্লিউ।
এরপর রয় কাইয়া টিকেছেন মাত্র ৫ বল। দ্বিতীয় সেশনে দারুণ বল করে বারবার সুযোগ তৈরি করছিলেন তাসকিন। ভালো বল করার পুরস্কার পেতে দেরি হয়নি। তাসকিনের ভেতরে ঢোকা দারুণ এক বলে ব্যাট ছুঁইয়ে কাইয়া ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। তিনিও ফেরেন কোন রান না করেই।
২ উইকেটে ২২৫ থেকে ৫ উইকেটে ২২৯ রানে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। আকস্মিক ধস সামলানোর চেষ্টা করছেন কাইটানো-চাকাভা। ফলোঅন এড়াতে এখনো তাদের দরকার ২৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(তৃতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৬৮
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৯৬ ওভারে ২৪৪/৫ (শুম্বা ৪১, কাইটানো ৮২*, টেইলর ৮১, মেয়ার্স ২৭, মারুমা ০, কাইয়া ০, চাকাভা ১০* ; তাসকিন ০/৪৬ , ইবাদত ০/৫১ , সাকিব ১/৭৪, মিরাজ ১/৬৭, মুমিনুল ০/৩)
Comments