বাবরের ফিফটির পর হাফিজের দারুণ বোলিংয়ে জিতল পাকিস্তান

উড়ন্ত শুরুর পর পাকিস্তানের ইনিংসে শেষ দিকে গিয়ে হঠাৎই হলো পতন। অন্যদিকে উইকেট হারিয়ে মন্থর শুরু পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা শেষ দিকে গতি দিলেন নিকোলাস পুরান। তবে ঝড়ো ফিফটি পেলেও কঠিন হয়ে যাওয়া সমীকরণ শেষ পর্যন্ত মেলাতে পারলেন না তিনি।
শনিবার গায়ানায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টি জিতে চার ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।
অধিনায়ক বাবরের ফিফটিতে এদিন আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করেছিল পাকিস্তান। রান তাড়ায় ধুঁকতে থাকা ক্যারিবিয়ানরা পুরানের ৩৩ বলে ৬২ রানের পরও করতে পেরেছে ১৫০ রান। বোলিংয়ে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজের। অফ স্পিন বল করে ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন ১ উইকেটও।
গায়ানার উইকেট ঐতিহাসিকভাবেই স্পিনারাও সহায়তা পান। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে নামা ক্যারিবিয়ানদের স্পিন ফাঁদে ফেলতে প্রথম ওভারেই বল করতে আসেন হাফিজ। দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন আন্দ্রে ফ্লেচারকে।
এরপর ক্রিস গেইল-এভিন লুইস দুই বাঁহাতির জন্য হাফিজ হয়ে উঠেন কঠিন চ্যালেঞ্জ। দুজনকে ক্রিজে আটকে একের পর এক ডট বল আদায় করতে থাকেন তিনি।
প্রথমে টানা তিন ওভারে মাত্র ৫ রান দেওয়া হাফিজ ইনিংসের ১৩তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসেও দেন মাত্র ১ রান। শুরুর রান আটকানো চাপের ফলে এর আগেই অবশ্য গেইল, হেটমায়ারকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা।
২০ বল খেলে মাত্র ১৬ রান করে হাসান আলির পেসে বোল্ড হন গেইল। ১৮ বলে ১৭ করা হেটমায়ারকে একই কায়দায় ছাঁটেন অভিষিক্ত পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
থিতু হতে সময় নেওয়া লুইস রান বাড়াচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৩ বলে ৩৫ রান করার পর আঘাত পেয়ে বাইরে চলে যেতে হয় তাকে।
এরপর পুরানের সঙ্গে জুটি বেধেছিলেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। পুরান ঝড় তুললেও পোলার্ড কিছুতেই সুবিধা করতে পারেননি। ৬৪ রানের জুটির ৪৮ রানই আসে পুরানের ব্যাট থেকে। ম্যাচটা শেষ ওভারের একটা রোমাঞ্চে নিয়ে গিয়েছিলেন পুরান। কিন্তু নিজে স্ট্রাইক রাখতে গিয়ে বল নষ্ট করে পুরানের জন্যও কাজটা কঠিন করে দিয়ে যান ১৪ বলে ১৩ করা পোলার্ড।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শারজিল খান- মোহাম্মদ রিজওয়ান আনেন ঝড়ো শুরু। ওভারপ্রতি ১০ করে আসতে থাকে রান। পঞ্চম ওভারে দলের ৪৬ রানে ১৬ বলে ২০ করা শারজিলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। কিন্তু এরপর বাবর-রিজওয়ানের জুটি জমে যায়। ৬৭ রানের জুটির পর ফেরেন ৩৬ বলে ৪৬ করা রিজওয়ান।
৪০ বলে ৫১ করা বাবরকে হোল্ডার তুলে নেওয়ার পর ধস নামে পাকিস্তানের ইনিংসে। ২৩ রানের ভেতর তারা হারায় ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত পুঁজি থাকে দেড়শোর আশেপাশে। যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে সেই রানটাই পরে হয়েছে যথেষ্ট।
Comments