রয়-উইলিয়ামসনের ব্যাটে ম্লান স্যামসনের ঝলক, মোস্তাফিজদের হার

বাকিদের গড়পড়তা পারফরম্যানের মাঝে দারুণ ইনিংসে দলকে একা টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন, দল পেয়েছিল লড়াইয়ের পুঁজি। তবে জেসন রয় আর কেইন উইলিয়ামসনের ফিফিটতে ব্যাটিং স্বর্গে এই মাঝারি পুঁজি টিকল না। অনায়াসে ম্যাচ জিতল সানরাইজার্স হায়দরবাদ।

সোমবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরবাদ। অধিনায়ক স্যামসনের ৫৭ বলে ৮২ রানে আগে ব্যাট করে ১৬৪ রান করে রাজস্থান। ৯ বল আগেই ওই রান পেরিয়ে জিতে যায় সানরাইজার্স।

রাজস্থানের হতাশার রাতে ৩.৩ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে রিয়ান পরাগের উইকেট নেন মোস্তাফিজ।

এই হারের পর প্লেফ খেলা অনেকটা শঙ্কায় পড়ে গেল রাজস্থানের। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে।

১৬৫ রান তাড়ায় নেমে বিস্ফোরক শুরু আনেন জেসন রয়- ঋদ্ধিমান সাহা। ওভারপ্রতি দশের উপর রান আনতে থাকেন তারা। পাওয়ার প্লের ফায়দা উঠে শতভাগ। ১১ বলে ১৮ করে ঋদ্ধিমান যখন ফিরছে দলের ৫.১ ওভারে দলের রান তখন ৫৭! ইংলিশ ওপেনার রয় তখন এলোমেলো করে দিচ্ছেন রাজস্থানের ইনিংস।

মোস্তাফিজের প্রথম ওভারে তিনি মারেন দুই চার। ঋদ্ধিমান আউটের পরও খেই হারায়নি রাজস্থান। অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে আসে রয়ের ৫৭ রানের আরেক জুটি। ঝড়ো ফিফটিতে ম্যাচের সমীকরণ সহজ করে দিয়ে রয় ফিরেন দ্বাদশ ওভারে। ৪২ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ৬০ করা রয়কে ফেরান চেতন সাকারিয়া।

খানিক পর পরাগকে কট এন্ড বল করে মোস্তাফিজ আউট করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি রাজস্থান। অভিষেক শর্মা (১৬ বলে ২১)কে নিয়ে বাকি কাজ সেরেছেন উইলিয়ামসন। হতাশার মৌসুম পার কর সানরাইজার্স অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৪১ বলে ৫১ রানে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে এভিন লুইসকে শুরুতেই হারায় রাজস্থান। তবে যশ্বভি জয়সওয়ালকে নিয়ে ভালোই সামাল দিয়ে দেন স্যামসন। সন্দিপ শর্মার বলে ২৩ বলে ৩৬ করা জয়সওয়াল ফিরলে ভাঙ্গে ৫৭ রানের জুটি।

চারে নামা বিস্ফোরক লিয়াম লিভিংস্টোন টিকেছেন মাত্র ৬ বল, করে  ৪ রান। স্যামসন খেলে যাচ্ছিলেন একাই। দলের রান আনার ভার যেন ছিল তারই উপর। শেষ দিকে মাহিপাল লামরোর মেটাতে পারেননি দ্রুত রান আনার চাহিদা। ২৮ বল খেলে তিনি করতে পেরেছেন ২৯ রান। স্যামসন ১৪৩.স্ট্রাইকরেট নিয়ে খেললেও লামরোরের এমন ব্যাটিংয়ে খুব বড় পুঁজি পায়নি রাজস্থান। যেটাই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।