রিজওয়ান-হায়দারের ঝড়ের পর বিধ্বস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রথম ওভারেই বাবর আজমকে তুলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফখর জামানও ফিরেছিলেন থিতু হওয়ার আগে। তবে ক্যারিবিয়ানদের দারুণ এই শুরু উবে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ান, হায়দার আলির ব্যাটের ঝাঁজে। শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজের ক্যামিওয়ে পাকিস্তান চড়ে রানের পাহাড়ে। যার জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকদের বোলিংয়ে খাবি খেয়ে ডুবেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সোমবার করাচিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে পাকিস্তান করেছিলেন ঠিক ২০০ রান। সফরকারীরা করতে পেরেছে কেবল ১৩৭ রান।
পাকিস্তানের জয়ে অবদান বেশ কজনের। রিজওয়ান ৫২ বলে ৭৮, হায়দার ৩৯ বলে ৪৮, নাওয়াজ ১০ বলে ৩০ করে ব্যাটিংয়ে রাখেন ভূমিকা। বল হাতে ৪০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সফল পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিফ জুনিয়র। মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শাদাব খান।
টস জিতে পাকিস্তানকেই ব্যাট করতে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। শুরুতে এসেছিল সাফল্যও। আকিল হোসেনের বলে কোন রান না করেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর। তাতে দমে না গিয়ে রিজওয়ান একাই বাড়াতে থাকেন রান। ফখর সঙ্গ দিতে পারেননি। ১০ রান করে তিনি শিকার রোমারিও শেফার্ডের।
এরপরই জমে যায় রিজওয়ান-হায়দার জুটি। রিজওয়ান বরাবরের মতো ধীরে ধীরে বাড়ান রানের চাকার গতি। হায়দার শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। দ্রুত রান আসার সঙ্গে জুটি পেরিয়ে যায় শতরান। তৃতীয় উইকেটে ১০৫ রানের জুটি ভাঙ্গে রিজওয়ানের বিদায়ে। ১০ চারে ৫২ বলে ৭৮ করেন পাকিস্তানের কিপার ব্যাটসম্যান। আসিফ আলি ও ইফতেখার আহমেদ নেমেই আউট হয়ে গেলে খেলায় ফেরার একটা আভাস ছিল ক্যারিবিয়ানদের।
কিন্তু হায়দার তা হতে দেননি, তার সঙ্গে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন নাওয়াজ। ৩৯ বলে ৬ চার, ৪ ছক্কায় ৬৮ করেন হায়দার। নাওয়াজ মাত্র ১০ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় করেন ৩০ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কখনই ম্যাচে থাকতে পারেনি সফরকারীরা। দ্বিতীয় ওভারেই ব্র্যান্ডন কিংকে তুলে নেন নাওয়াজ। ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করলেও অধিনায়ক পুরান বেশি দূর যেতে পারেননি। ১০ বলে ১৮ করা পুরানের ডানা ছাঁটেন পেসার ওয়াসিম জুনিয়র। ওয়াসিম পরে ফেরান ডেভন থমাসকে। শেই হোপ একা রান বাড়ালেও তার ইতি টানেন শাদাব। এই লেগ স্পিনারের বলে ফিরে যান শারমাহ ব্রোকসও। ডমিনিক ড্রেকস শিকার হন হারিস রউফের। শাদাব খানিক পর রোভম্যান পাওয়ালকেও শিকার ধরলে ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোন পথ ছিল না তাদের। শেষ দিকে শাহীন আফ্রিদি, ওয়াসিম মিলে মুড়ে দেন ক্যারিবিয়ান ইনিংস।
Comments