রিশাদের আক্ষেপ, রিশাদের স্বস্তি

মেহেদী হাসান রানা যখন আউট হন, তখন রিশাদ হাসান ছিলেন ৬০ রানে অপরাজিত। শেষ উইকেট জুটিতে কামরুল ইসলাম রাব্বি কতোটা সহায়তা করতে পারবেন এ নিয়ে ছিল বড় সংশয়। তবে রাব্বি উতরে গেলেন ঠিকই। রান না করলেও খেলেন মূল্যবান ২৮টি বল। অন্যদিকে এগিয়ে যেতে থাকেন রিশাদ হাসান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১ রানের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে সেঞ্চুরি করতে না পারলেও দলকে ঠিকই লড়াইয়ের লিড এনে দেওয়ার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এ তরুণ।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে চতুর্থ দিন শেষে ১৯২ রানে এগিয়ে আছে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে এদিন ২৬৮ রানে অলআউট হয় তারা। আর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২৬ রান করে দিন শেষ করেছেন ওয়াল্টন মধ্যাঞ্চল।

আগের দিনের ১ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে এদিন ব্যাট করতে নেমে আবু হায়দার রনির তোপে পড়ে দক্ষিণাঞ্চল। ফলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৯ রান যোগ করতেই প্রথম সারীর পাঁচ ব্যাটারকে হারায় তারা। আর ৩৩ রান যোগ করতে বের হয়ে আসে লেজও। তখন উইকেটে নামেন রিশাদ। মূলত বোলার হিসেবেই পরিচিত তিনি। এর আগে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ৪২ রানের। এদিন পুরোদুস্তর ব্যাটার হয়ে গেলেন তিনি। 

নাসুম আহমেদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন এ তরুণ লেগস্পিনার। ৪৪ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দেন। এরপর ভুল বোঝাবোঝির খেসারতে নাসুম রানআউট হয়ে ফিরে গেলে মেহেদী হাসান রানাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিশাদ। ৬১ রানের জুটিতে মাত্র ১১ রান রানার। বাকীটা আসে রিশাদের ব্যাট থেকে।

নাসুমের বিদায়ের পর রাব্বিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিশাদ। গড়েন ৪৪ রানের আরও একটি মূল্যবান জুটি। অতিরিক্ত বাদে যার পুরোটাই আসে রিশাদের ব্যাট থেকে। কিন্তু শেষ বেলা তাইবুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। তবে দলকে ভালো অবস্থানে এনে দেওয়ায় চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়েন এ লেগি।

ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে কাজের কাজটি করেছেন রিশাদ। ১৩৬ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় খেলেন ৯৯ রানের ইনিংস। এছাড়া অমিত হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। নাসুম আহমেদও করেন মূল্যবান ৪১ রান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে ৭৮ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার।

২১৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছে মধ্যাঞ্চল। তবে প্রথম ইনিংসে দলকে উদ্ধার করা মোহাম্মদ মিঠুন আউট হয়ে গেছেন। ডাবল সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটার করেছেন মাত্র ৭ রান। ফিরেছেন আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদও (৫)। নাইটওয়াচম্যান হাসান মুরাদ ফিরে গেলে বড় চাপেই নিয়ে দিন শেষ করেছে দলটি। সৌম্য সরকার ৮ ও সালমান হোসেন ৫ রানে উইকেটে আছেন।

দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে নাসুম দুই ওভার বল করে কোনো রান না দিয়েই পান দুটি উইকেট। অপর উইকেটটি নেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা।

Comments

The Daily Star  | English

Polls no later than June 2026

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said that next national polls will be held within June 2026.

3h ago