রেকর্ড গড়ে পাপুয়া নিউগিনিকে গুঁড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু ওমানের

রানের খাতা খোলার আগেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলল পাপুয়া নিউগিনি। সেই বিপর্যয় সামলে দলকে ভালো সংগ্রহের আশা দিলেন অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙার পর ওমানের অধিনায়ক জিসান মাকসুদ উঠলেন জ্বলে। তার বাঁহাতি স্পিনে দিশেহারা পাপুয়া নিউগিনি আটকে গেল সাদামাটা সংগ্রহে। সেটা পেরিয়ে যেতে একটুও বেগ পেতে হলো না স্বাগতিকদের। দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস ও জতিন্দর সিং মিলে শেষ করে দিলেন খেলা।
রোববার আল আমেরাত স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে ওমান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৯ রান করে পাপুয়া নিউগিনি। জবাবে ৩৮ বল বাকি থাকতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে ওমান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই উইকেটের হিসাবে ওমানের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। আগে কখনোই কোনো দলকে এই ব্যবধানে হারাতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। ২০১৯ সালে কানাডার বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতেছিল তারা। গত বছরও তারা একই ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল বাহরাইনকে।
তৃতীয় উইকেটে ৬০ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েন ভালা ও আমিনি। কিন্তু দ্বাদশ ওভারে আমিনি রানআউট হয়ে গেলে মড়ক লাগে পাপুয়া নিউগিনির ইনিংসে। শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। ১৬তম ওভারেই বাঁহাতি স্পিনার মাকসুদ আদায় করে নেন ৩ উইকেট।
পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে ভালা ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ৩ ছক্কা। আমিনি ৩৭ করতে খেলেন ২৬ বল। তিনি মারেন ৪ চার ও ১ ছক্কা। এছাড়া, দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল সেসে বাউ। ১৩ বলে ১৩ রান করতে ২টি চার মারেন তিনি। মাকসুদ ৪ ওভারে ২০ রানে পান ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন দুই পেসার বিলাল খান ও কলিমুল্লাহ।
লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু পাওয়া ওমান পাওয়ার প্লেতে তোলে ৪৬ রান। তাদের দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ হয় সপ্তম ওভারে। আর সংগ্রহ শতরান পেরিয়ে যায় দ্বাদশ ওভারে। শেষ পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়েই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে তারা। জতিন্দর ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। ৩৩ বলে ফিফটি পূরণ করার পর তিনি অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে। তার ৪২ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৪ ছক্কা। আরেক ওপেনার আকিবও পান হাফসেঞ্চুরির স্বাদ। ৫ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে তিনি ৪৩ বলে করেন ৫০ রান।
Comments