রোমাঞ্চ নিয়ে বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় সিডন্স

Jamie Siddons
ছবি: ফেসবুক

প্রায় ১৫ বছর আগে প্রধান কোচ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন জেমি সিডন্স। ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিলেন সাকিব আল হাসানদের দায়িত্বে। দীর্ঘ দিন পর আবার বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন তিনি। এবার ভূমিকা ভিন্ন, কমেছে দায়িত্বের পরিসর। তবে ব্যাটিং পরামর্শকের ভূমিকায় বাংলাদেশে আসার জন্য রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে সিডন্সকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে তার নতুন দায়িত্ব। তার আগে বাংলাদেশের ভিসা হাতে পেয়েই শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সিডন্স,  'মাত্রই বাংলাদেশের ভিসা হাতে পেলাম, যেখানে হবে আমার কোচিংয়ের পরবর্তী ঠিকানা। দুই বছর সেখানে থাকব আশা করি। এই বছর অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আশা করছি আমার হাত দিয়ে কিছু তরুণ প্রতিভা বের করতে পারব। আমি একই সঙ্গে জাতীয় দল ও ডেভোলাপমেন্টের সঙ্গেও কাজ করব। তরুণদের প্রস্তুত করতে আমি ভালবাসি।'

সিডন্সকে নিয়োগ দিলেও জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে অ্যাশওয়েল প্রিন্সের সঙ্গেও চুক্তি বহাল রেখেছে বিসিবি।  বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন  জাতীয় দল, এইচপি, বয়সভিত্তিক দল মিলিয়ে সব জায়গাতেই সিডন্সকে কাজে লাগানো হবে। সেটা কি প্রক্রিয়ায় হবে তা পরিষ্কার করেনি বোর্ড, সিডন্স নিজেও তার কাজের পরিধি নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত না,   'আশা করছি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করব, এবং কিছু তরুণদের সঙ্গেও কাজ করা হবে। আমি এখনো শতভাগ নিশ্চিত না কোথায় আমার সময়টা কাটবে। কিন্তু আমার মনে হয় কিছু তরুণ প্রতিভাকে কাজ করা হবে তাদের ক্রিকেটটা উন্নত করতে সাহায্য করব।'

২০০৭ সালে বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছিলেন সিডন্স। ছিলেন ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার অধীনে ক্যারিয়ার শুরু হয় সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের। তখন প্রধান কোচ থাকলেও ব্যাটিং কোচ হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। ব্যাটিং কোচ হিসেবে সিডন্সের প্রশংসা করে আসছেন তামিমরা।

বাংলাদেশে আসার আগে নজর রেখেছেন মুমিনুল হকদের খেলায়। তার মনে হচ্ছে কাজ করতে হবে ধারাবাহিকতার ঘাটতি নিয়ে,  'আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে যাওয়ার ফ্লাইট ঠিক করব। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে কাজ শুরু করব। আমি সেখানে আগেও কাজ করেছি, আবার কাজ করতে ভাল লাগবে। সম্প্রতি তারা কিছু ভাল জয় পেয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতল। দারুণ ব্যাটিং ও বোলিং করেছে। পরে যদিও দ্বিতীয় টেস্টে সেটা ধরে রাখতে পারেনি। আমি নিশ্চিত না কেন সেটা হলো, তবে আবার মনে হয় ধারাবাহিকতা নিয়ে কাজ করার আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

6h ago