লিটনের মাঝের ছন্দপতনের কারণ ‘করোনা বিরতি’

Litton Das

গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির আগে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন লিটন দাস। করোনায় অপ্রত্যাশিত বিরতির পর টেস্টে রান পেলেও ভুগতে থাকেন ওয়ানডেতে। ৮ ম্যাচে রান খরার পর শুক্রবার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে নিজেকে আলোয় এনেছেন তিনি। বিপদে পড়া বাংলাদেশের এই ত্রাতা জানালেন, তার মাঝের ছন্দপতনের কারণ মূলত কোভিড বিরতি।

করোনাভাইরাস বিরতির ঠিক আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে তিন ওয়ানডেতে করেছিলেন দুই সেঞ্চুরি। একটিতে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলে গড়েন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত  ইনিংসের রেকর্ড।

করোনা বিরতির পর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডেতে ফেরে বাংলাদেশ। ওই তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪, ২২, ০। পরে নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচে করেন  ১৯,০ ও ২১ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ০ ও ২৫ করার পর তৃতীয় ম্যাচ খেলেননি। তাকে বাদ দিয়ে স্কোয়াডের বাইরে থেকে এনে খেলানো হয় নাঈম শেখকে। যদিও লিটন বলছে কব্জির চোটের কারণেই সেদিন খেলতে পারেননি তিনি।

শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুতেই তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানদের হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ।  পরিণত ব্যাটিংয়ে সব বিপর্যয় সামলে লিটন দিয়েছেন জবাব। ১১৪ বলে করেছেন ১০২। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

ম্যাচ শেষে এই ৮ ম্যাচে রান না পাওয়াকে কোভিড বিরতির ফল বলে অবিহিত করেছেন তিনি,  ‘এর আগে ৮ ম্যাচে ওয়ানডেতে রান করতে পারিনি। আমি যখনই খেলি তখনই চিন্তা করি নিয়মিত রান করব। সব ব্যাটসম্যানেরই চাহিদা এটা থাকে। কিন্তু কোভিডের আগে জিনিসটা যেটা ছিল আমি একটা ভালো মোমেন্টাম পেয়েছিলাম। হয়তবা কোভিড না হয়ে যদি স্বাভাবিক খেলা হতো আমার সুযোগ ছিল পারফর্ম করার বেশি, কারণ একটা পিক সময় চলছিল। কোভিডের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসাটা একটু কঠিন হয়ে গেছে।  কারণ মাথায় অনেক চিন্তা ছিল যে পারফর্ম করতে হবে। এভাবে দেখতে দেখতে আটটা ইনিংস গেছে।’

তালগোল পাকানো সময়ে দলের সতীর্থ আর পরিবারের সমর্থন তার বিশ্বাস রেখেছে পোক্ত,  ‘এই সময়ে সতীর্থদের সাহায্য, বড় ভাইদের সাহায্য, পরিবার থেকে সাপোর্ট পেয়েছি। বিশেষ করে আমার স্ত্রী অনেক সহযোগিতা করেছে যে আমার ধারা অনেক কিছু সম্ভব,  অনেক কিছু করতে পারি। বিশ্বাসগুলাই আমাকে সব সময় সাহায্য করেছে।’

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago