শেষ ম্যাচেও হারল বাংলাদেশের যুবারা

আগের ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শেষ ব্যাটসম্যানকে 'মানকাড' করে জয় পেয়েছিল আফগানিস্তানের যুবারা। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে এবার দারুণ লড়াই করে জিতেছে দলটি। তবে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা।
রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.৪ ওভার ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সফরকারী দলটি।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি আফগানিস্তানের যুবারা। আশিকুর জামানের তোপে দলীয় ২৪ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় দলটি। তবে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদুল্লাহ নাজিবুল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইশাক জাজাই। ৪৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
এরপর ৫ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল দলটি। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন জাজাই। দলীয় ৯৯ রানে জাজাইকে ফিরিয়ে অবশ্য বাংলাদেশকে ফের আশা দেখিয়েছিলেন আইচ মোল্লাহ। কিন্তু অধিনায়ক ইজাজ আহমেদ ও ইঝারুল হক নাভিদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে আর পেরে ওঠেনি তরুণ টাইগাররা। সপ্তম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে ইজাজ ফিরলেও জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন নাভিদ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন জাজাই। ৭৯ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৭৭ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৩২ রান করেন ইজাজ। ৪৯ বলে ২টি ছক্কায় ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নাভিদ। বাংলাদেশের যুবাদের পক্ষে ৩৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান আশিকুর।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশের যুবারা। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৪৮ রান। এ জুটি ভাঙতেই রীতিমতো উইকেট হারানোর মিছিলে নামে দলটি। ২ রানের ব্যবধানে উইকেট হারায় তিনটি। দলীয় ৮২ রানেই টপ অর্ডারের ছয় উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে তারা।
এরপর গোলাম কিবরিয়াকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২৫ রানের জুটিতে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তবে কিবরিয়ার বিদায়ে ফের চাপে পড়ে দলটি। এবার নাইমুর রহমানকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন মামুন। অষ্টম উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন মামুন। ৮২ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ওপেনার ইফতেখার হোসেন ৪০ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় করেন ২৬ রান। এছাড়া নাইমুর ১৬ ও তাহজিবুল ইসলাম ১৫ রান করেন।
আফগান যুবাদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বিলাল সামি ও নাঙ্গেওয়ালিয়া খারোতে। ইঝারুল হক নাভিদ ও শহিদুল্লাহ হাসানি পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।
Comments