শ্রীলঙ্কার মহাসংকটে প্রতিবাদকারীদের পাশে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারা

mahela jayawardene & kumar sangakkara

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার শ্রীলঙ্কা। খাদ্য, জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। নেই চাকরি, বিদ্যুৎ। দেশটিতে অনেকটা যেন যুদ্ধাবস্থা। দেশের এই দুর্দিনে মুখ খুলেছেন দুই লঙ্কান ক্রিকেট কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। সরকারকে দায়ী করে এই সংকটের সমাধান চাইছেন তারা।

জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারা দুজনই আছেন ভারতে। সেখানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) -এর দুই দলের কোচ তারা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দায়িত্বে জয়াবর্ধনে। সাঙ্গাকারা আছেন রাজস্থান রয়্যালসের কোচ হিসেবে।

দূরে থাকলেও দেশের পরিস্থিতিতে মন বড় অস্থির এই দুজনের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাই জানিয়েছেন হতাশা। জয়াবর্ধনে তার টুইটারে এই সংকটে প্রতিবাদকারীদের আটকের নিন্দাও জানিয়েছেন,  'শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থা ও কারফিউ দেখে মন খারাপ লাগছে। সরকার জনগণের অধিকার উপেক্ষা করতে পারে না। মানুষের প্রতিবাদ করার সব রকম অধিকার আছে। যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের আটক করা একদম উচিত হয়নি।'

শ্রীলঙ্কার এই সংকটের পেছনে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের দায়কেই বড় মনে করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। জয়াবর্ধনেও এই নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে তাদের ভুল স্বীকারের আহবান জানান, 'প্রকৃত নেতারা নিজেদের ভুল মেনে নেয়। দেশের মানুষকে রক্ষা করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, দুর্দশায় পাশে থাকতে হবে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে একটা ভাল রাজনৈতিক দল দরকার। এখন বিনীত হওয়ার সময়, ঠিক কাজ করার সময়, অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।'

ইন্সটাগ্রামে সাঙ্গাকারা আরেকটু নমনীয় স্বরে বিষয়টি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন,  'শ্রীলঙ্কারনরা ভীষণ কঠিন সময় পার করছেন। একটা দিন কাটাতে মানুষের দুর্দশা ও ভোগান্তি দেখা হৃদয় বিদারক। জনগণ সমাধান চাইছে। সরব হচ্ছে। কেউ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। রাজনৈতিক ধ্বংসাত্মক চিন্তা ভাবনার বদলে সবার উচিত শ্রীলঙ্কার স্বার্থ দেখা। জনগণ শত্রু নয়, জনগনই দেশ। মানুষের আগামী রক্ষা করতে হবে।'

এদিকে আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলতে থাকা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসে এত রাখঢাক করেননি। তিনি দেশটির সংসদ সদস্যের প্রত্যাককে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন, 'তরুনদের আগামী নষ্ট করে দিয়েছেন তারা। এর পেছনে দায়ী ২২৫ জন (সংসদ সদস্য) মানুষ।'

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

22m ago