সাকিব ছাড়া সব সিনিয়র থাকছেন জিম্বাবুয়ে সফরে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফেরার পর খুব বেশি বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টাইগাররা উড়ে যাবে জিম্বাবুয়েতে। তবে সেখানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে যাচ্ছেন না সাকিব আল হাসান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সুযোগ রেখেছিল অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রামের থাকার। সেটা লুফে নিয়েছেন বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার সাকিব। তিনি বোর্ডকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন জিম্বাবুয়েতে না যাওয়ার কথা।
সাকিব না গেলেও বাকি সিনিয়র ক্রিকেটাররা বিসিবির দেওয়া বিশ্রামে থাকার সুযোগ নেননি। তাদের সায় রয়েছে জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার। ফলে প্রায় পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই খেলতে যাবে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস নিশ্চিত করেছেন সাকিবের সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারটি, 'মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে নির্বাচকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। যেহেতু জিম্বাবুয়ে সফরের ওয়ানডে সিরিজটি সুপার লিগের অংশ নয়, তাই সিনিয়রদের বিশ্রামে থাকার সুযোগ রাখা হয়েছিল। সাকিব ছাড়া অন্য কেউ তা নেয়নি। সাকিব আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে সে যাচ্ছে না।'
জালাল আরও জানিয়েছেন, প্রায় পুরো শক্তির দল থাকায় জিম্বাবুয়েতে জয় ছাড়া অন্য কিছুর কথা ভাবছেন না তারা, 'সুপার লিগের অংশ না হলেও জিম্বাবুয়ে সফর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা শক্তিশালী দল নিয়ে যাচ্ছি, দ্বিতীয় সারির দল পাঠাচ্ছি না। কারণ, আমাদের জয় দরকার।'
সাকিব বাদে বাকিরা থাকায় জিম্বাবুয়েতে সাদা বলের দুই সিরিজের দল নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে না বিসিবিকে। খুব শিগগিরই তারা স্কোয়াড ঘোষণা করবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জুলাই। এরপর দেশে ফিরে আসবে টাইগাররা। কয়েক দিনের বিশ্রামের পর তারা জিম্বাবুয়েগামী বিমানে চড়বে। জুলাইয়ের শেষ ও অগাস্টের শুরুর দিকে হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
Comments