নতুন অস্ত্রে ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন করছেন খালেদ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্যারিয়ারের শুরুটা খুব ভালো ছিল না খালেদ আহমেদের। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে কোন উইকেটই পাননি। প্রথম চার ইনিংসে তার উইকেট ছিল কেবল একটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে দুই টেস্টে পান ৮ উইকেট। করেন নজরকাড়া বোলিং। এই ডানহাতি পেসার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সাক্ষাতকারে  জানালেন নতুন দক্ষতা যোগ করে আরও শাণিত হচ্ছেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় তো ভালই করলেন, দুই টেস্টে ৮ উইকেট নিলেন।

খালেদ আহমেদ: সত্যি কথা বলতে, আমি আমার পারফরম্যান্সে অখুশি ছিলাম না। কিন্তু দলের জয়ে যদি অবদান রাখতে পারতাম যেটা নিউজিল্যান্ডে ইবাদত করতে পেরেছে তাহলে বেশি ভালো লাগত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দুটি টেস্টেই হেরেছি দক্ষিণ আফ্রিকায়। খেলোয়াড় হিসেবে যা আমার জন্য হতাশার।

দক্ষিণ আফ্রিকায় কোন জায়গাটায় কাজ করেছেন

খালেদ: আমি বিশ্বের অনেক বড় বোলার ও কোচদের সঙ্গে কথা বলেছি। সুজন স্যারের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবাই আমাকে বলেছে বোলার হিসেবে আমাকে আরও উদ্যমী ও ধৈর্যশীল হতে হবে।

নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলে ব্যাটারদের চাপে রাখতে চাই। এছাড়াও আমি স্ক্রাম্বলড (আড়াআড়ি) ও ওবলি (সিমের দুই পাশে আঙুল রেখে) সিমেও বল করার চেষ্টা করছি।  আপনি যদি দেখেন জেমস অ্যান্ডারসন, প্যাট কামিন্স ও বেন স্টোকস এগুলো খুব ভালো।

বল যখন পুরনো হয়ে যায় তখন মুভমেন্ট পাওয়া খুব কঠিন। শন পোলক আমাকে বলেছিলেন আমি ওবলি সিমে বল করায় ব্যাটসম্যানদের আমাকে সামলাতে সমস্যা হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছিলাম তারা আমার বোলিং খুব খতিয়ে দেখছে। ব্যাটারদেরকে দ্বিধায় ফেলে দিলে তাদের কাজটা কঠিন হয়ে যায়।

আমি পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই এই ধরনের বল করার চেষ্টা করছিলাম। অ্যালান ডোনান্ডও বলছিলেন আমার বোলিং অ্যাকশন ইউনিক যেটা ব্যাটসম্যানদের জন্য পড়া খুব শক্ত।

জুটি হিসেবে বল করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ

খালেদ: দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টের সময় আমরা নিজেরা কথা বলছিলাম। যেখানে আমি ইবাদত ও তাসকিনকে বলেছি আমরা যদি ভালো জায়গায় বল করি তাহলে উইকেট পাব। আমরা দুই দিক থেকেই রান আটকে রাখছিলাম, এতে ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়েছিল।

তখন হয়ত আমি উইকেট পাইনি কিন্তু তাসকিন বা ইবাদত পেয়েছে। কারণ দুই দিক থেকেই চাপ এসেছে। কাজেই দিনশেষে এটা টিমওয়ার্ক। যেটা আমরা খুব উপভোগ করছি।

কন্ডিশন মাথায় নিলে পেসার হিসেবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের চ্যালেঞ্জটা কি?

খালেদ: মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টানা নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলে যাওয়া। না হলে অধিনায়কের জন্য এটা খুব কঠিন হয়ে যায়। যদি উইকেট না পাই রান আটকে রাখতে হবে। স্পিনারদের সহায়ক হিসেবে কাজ করতে হবে।

আপনি হয়ত খেয়াল করছেন পেসারদের মধ্যে বিশ্বাসটা জন্ম নিয়েছে। আমরা যদি এই ধারা বজায় রাখতে পারি বাংলাদেশের পেস বোলাররা আগামী দিনে ভিন্ন মাত্রায় যাবে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

12h ago