নিজেকে উঁচু মানে নিয়ে যেতে চান শান্ত

najmul hossain shanto
নাজমুল হোসেন শান্ত। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্যারিয়ারের শুরুতে বিস্তর উত্থান পতনের গল্প ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি টেস্টে নিজেকে থিতু করছে। ২৩ পেরুনো এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ধারাবাহিকতাও দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শান্ত বলেছেন নিজের খেলাকে উঁচু মানে নিয়ে যেতে চান তিনি।

ক্যারিয়ারের শুরুটা মলিন হলেও পরে টেস্টে ঝলক দেখিয়েছিলে। ব্যাটার হিসেবে নিজের ভূমিকাকে কীভাবে দেখেন?

নাজমুল হোসেন শান্ত: আমি আমার খেলাটা উপভোগ করছি। শুরুতে আমি সংগ্রাম করেছি, কারণ প্রথম তিন বছরে আমি কেবল তিনটা টেস্ট খেলতে পেরেছিলাম। তারপর সেই জায়গা থেকে উত্তরণ ঘটে। গত ১০-১২টা টেস্ট থেকে নিয়মিত পারফর্ম করতে পারছি।

আমি বলছি না আমি খুবই ভাল খেলছি। আমার মনে হচ্ছে আমি আরও ভাল খেলতে পারি। সামর্থ্য অনুযায়ী বড় রান করতে পারি। আশা করছি আগামী দিনে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাব। যাতে আমার পারফরম্যান্সের গ্রাফটা উর্ধ্বমুখি থাকে।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর কোন জায়গা নিয়ে কাজ করেছেন?

শান্ত: আমার মূল চ্যালেঞ্জ ছিল মানসিকভাবে শক্ত থাকা। আমি আমার ব্যাটিংটা ভিজ্যুয়ালাইজ করতাম। এবং সৎভাবে নিজের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করতাম। নিয়মিতই টেকনিক্যাল ও মেন্টাল দিকগুলো নিয়ে কাজ করতাম। আমি এটাকে চাপ মনে না করে পরবর্তী সুযোগের কথা ভাবতাম।

টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করতে না পারায় আমি কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কাজ করি। বিপিএলে প্রথম দুই-তিন আসর খুব কঠিন যায়। তিনি আমাকে প্রেরণা যোগাতেন। এবং সুজন (খালেদ মাহমুদ) স্যার বরাবরই আমাকে গাইড করার জন্য থাকতেন।

আপনি কি টেস্ট সংস্করণটাই নজর দিচ্ছেন নাকি সব সংস্করণের জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে চান?

শান্ত: এই মুহূর্তে আমার সব মনোযোগ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ ঘিরে। ভালো দিক হচ্ছে আমি ওয়ানডে স্কোয়াডেও আছি যদিও খেলার সুযোগ পাইনি।

আমি মনে করি দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে খেলার আত্মবিশ্বাস আমাকে সাদা বলেও ভালো করতে সাহায্য করবে। ভাগ্যবশত আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা বলে নিয়মিতই রান করি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভিন্ন কন্ডিশনে খেলে এলেন। তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ঘরের মাঠে মানিয়ে নেওয়ার কোন ব্যাপার থাকবে কিনা?

শান্ত: টেস্ট ক্রিকেট খুবই কঠিন ক্রিকেট। আপনাকে শক্তি হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং প্রতিদিনই উন্নতি করতে হবে। তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুতই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।

অনুশীলনের সময় কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি নেব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমার মনে হয় স্পিন বড় চ্যালেঞ্জ হবে। আমি এরমধ্যে কাজ শুরু করেছি।  আমি নিয়মিত টেস্ট খেলছি কাজেই মানিয়ে নেওয়াটা আমার জন্য সহজ হচ্ছে।

ব্যাটসম্যানদের টেম্পারমেন্ট নিয়ে অনেক কথা হয় বিশেষ করে টেস্টে

শান্ত: আমি যখন তিন নম্বরে ব্যাট করি, কিছু সময় আসে শুরুতেই দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে য্য। কিন্তু আমি সাধারণত আমার সহজাত খেলা থেকে বেরিয়ে আসি না। আমি আমার পরিকল্পনায় দৃঢ় থাকি। কিন্তু একটা সময় ধৈর্য ধরতে হয়, সময় নিতে হয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হয়। বলা হয় সেরা ব্যাটার তিন নম্বরে খেলে। আমি নিজেকে এরকম উঁচু মানে নিয়ে যেতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

9h ago