এনসিএল (প্রথম স্তর)

সিলেট-ঢাকা ম্যাচের প্রথম দিনে পড়ল ২১ উইকেট

নাজমুল হোসেন অপুর বাঁহাতি স্পিনে টালমাটাল সিলেট বিভাগ কোনোমতে পঞ্চাশ পেরিয়েই গেল গুটিয়ে। জবাব দিতে নেমে ঢাকা বিভাগও সুবিধা করতে পারল না। তারা দুইশর নিচে অলআউট হওয়ায় ফের ব্যাটিংয়ে নামতে হলো সিলেটকে।

রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে রাজত্ব করেছে বোলাররা। আরও স্পষ্ট করে বললে- স্পিনাররা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম স্তরের এই ম্যাচের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৮০ ওভার। আর পতন হওয়া ২১ উইকেটের ১৪টিই নিয়েছে ঘূর্ণি বোলাররা।

দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিক সিলেট। তাদের হাতে রয়েছে ৯ উইকেট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে ২২ ওভারে মোটে ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা। এরপর ৪১ ওভারে ঢাকার প্রথম ইনিংস থামে ১৭৬ রানে। তাদের পাওয়া ১০৯ রানের লিড দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে কমিয়ে এনেছে সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৫ রান।

প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটে ৩২ রানে পৌঁছে যাওয়া সিলেট শেষ ৯ উইকেট হারায় কেবল ৩৫ রানে। তাদের মাত্র চার ব্যাটসম্যান ছুঁতে পারেন দুই অঙ্ক। অধিনায়ক অলক কাপালি ২ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। ঢাকার পক্ষে অপু ২৩ রানে নেন ৬ উইকেট। শুভাগত হোম ডানহাতি স্পিনে ৩ উইকেট পান ১৮ রানে।

ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে ঢাকাও। বল হাতে ইবাদত ইসলাম ও এনামুল হক জুনিয়র জ্বলে ওঠায় ৭২ রানের মধ্যে তারা হারায় ৬ উইকেট। অধিনায়ক সাইফ হাসান ফেরেন ৯ বলে ৪ রান করে। ভীষণ চাপের মুখে সপ্তম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন শুভাগত ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তাদের কারণে শতরান পেরোনো লিড পাওয়া নিশ্চিত হয় ঢাকার।

শুভাগত ৬৯ বলে ঠিক হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে আউট হন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরা অঙ্কন খেলেন ৮৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। সিলেটের অভিজ্ঞ স্পিনার এনামুল ৬৬ রানে ৪ উইকেট ও পেসার ইবাদত ৩৪ রানে ৩ উইকেট পান।

রংপুর-খুলনা

প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মূল মাঠে দিন শেষে ৮৬ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৬ রান তুলেছে রংপুর বিভাগ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির প্রায় সবাই ছোট ছোট অবদান রাখলেও কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা বিভাগের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৪ উইকেট। পেসার আল-আমিন হোসেনের ঝুলিতে গেছে ৩ উইকেট।

রংপুরের ওপেনার জাহিদ জাভেদের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৩ বলে ৪০ রান। তিনে নামা মাহমুদুল হাসান ৩৪ করেন ৫৯ বলে। এছাড়া, অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ১০৫ বলে ৩০ ও নাসির হোসেন ৬৭ বলে ৩২ করে আউট হন। ক্রিজে আছেন ধীমান ঘোষ ২২ ও রবিউল হক ১০ রানে।

Comments

The Daily Star  | English
bad loans rise in Bangladesh 2025

Bad loans hit record Tk 420,335 crore

It rose 131% year-on-year as of March of 2025

12h ago