সেই টেস্ট থেকে প্রেরণা নিতে চায় বাংলাদেশ

Khaled mahmud sujon
খালেদ মাহমুদ সুজন। ফাইল ছবি

কোন সংস্করণেই নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের কোন সুখস্মৃতি নেই। টেস্টে তো একের পর এক লড়াইবিহীন হারের গ্লানি আছে বিস্তর। তবে ওয়েলিংটনে একবার ম্যাচ বাঁচানোর আশা জাগিয়েও পুড়তে হয়েছে হারের যন্ত্রণায়। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন প্রেরণা খুঁজতে ফিরে গেলেন সেই ম্যাচে।

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ঠিকানা ছিল ক্রাইস্টচার্চে। সেখানে কোয়ারেন্টিনের ধকল পার করে ফুরফুরে মুমিনুল হকরা শুক্রবার পৌঁছেছেন তাওরাঙ্গাতে। এখানকারই প্বার্শবর্তী শহর মাউন্ট মাঙ্গানুইতে হবে প্রথম টেস্ট।

ভ্রমণ ক্লান্তি ও সাপোর্ট স্টাফদের বড়দিনের ছুটি মিলিয়ে শনিবার দিনটা বাংলাদেশের নিখাদ অবসরের, 'আজকে আমাদের ডে অফ। কারণ আজকে ক্রিসমাস এখানে, সবার ছুটি। কেউ কাজ করছে না। আমাদের ছেলেদেরও তাই ছুটি। ক্রাইস্টচার্চে আমরা খুব ভালো ট্রেনিং করে এসেছি। গতকাল জিম সেশন ছিল। আগামী দুই দিন, মানে ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর আমরা ট্রেনিং করব। আশা করি কঠোর ও ভালো ট্রেনিং হবে।'

'২৮ ও ২৯ তারিখ আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। ৩০ তারিখ আবার বিরতি। ৩১ তারিখে অনুশীলনের পর আমরা প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলব ১ তারিখ থেকে। এখনও পর্যন্ত সব ভালো। ছেলেরা ফিট আছে, ভালো আছে। অনুশীলনও ভালো হচ্ছে। আশা করছি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।'

নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের ভালো ক্রিকেটের স্মৃতি বলতে ২০১৭ সালের ওয়েলিংটন টেস্ট। সেবার প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান করেছিলেন ২১৭ রান, ১৫৯ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬০ রানে গুটিয়ে ওই ম্যাচও হেরেছিল বাংলাদেশ। 

শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হারের যন্ত্রণায় সমাপ্ত হলেও ভালো খেলার স্মৃতিটুকু এবার প্রেরণা হিসেবে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ,  'এর আগে নিউ জিল্যান্ডে আমরা ১০টি (৯টি) টেস্ট খেলেছি, রেকর্ড যেখানে খুব ভালো নয়। ব্যতিক্রম বলা যায় ২০১৬ সালের (২০১৭ সাল) ওয়েলিংটন টেস্ট। ওই টেস্টে শেষ দিনে চা-বিরতির পর হেরে যাই আমরা। তবে ওই টেস্ট থেকেই আমরা প্রেরণা নিচ্ছি যে, সেবার যদি আমরা ৫৯৫ করতে পারি ৮ উইকেটে, ইনিংস ঘোষণা করেছিলাম, এবার আমরা চাই আরও ভালো কিছু করতে।'

Comments

The Daily Star  | English

US cuts tariffs on Bangladesh to 20% after talks

The deal for Dhaka was secured just hours before a midnight deadline set by President Donald Trump

2h ago