সেই তিন সেঞ্চুরিয়ান এবার পড়ালেন ২-এর নামতা

মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ওয়াল্টন মধ্যাঞ্চলের এ তিন টপ অর্ডার ব্যাটারই তুলে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। তবে পরের ম্যাচেই উল্টো চিত্র। তিন জনই ব্যর্থ। তবে এরমধ্যেই দারুণ এক মিল রেখেছেন তারা। এ তিন ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ২ করে রান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগের দিনের বিনা উইকেটে ৪ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে মধ্যাঞ্চল। আগের দিনই ২ রান করে করেছিলেন দুই ওপেনার মিজানুর ও মিঠুন। এদিন যোগ করতে পারেননি কিছুই। দিনের প্রথম বলেই আসাদুজ্জামান পায়েলের বলে উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন। আর এনামুল হকের করা পরের ওভারে এক বল খেলেই শাহাদাত হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিজানুর।
আর তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২ রান করেই আউট হন এনামুলের বলে। তানভির ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ব্যাটার। সে ধারায় খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সালমান হোসেন ও শুভাগত হোমও। ফলে দলীয় ৩২ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপর্যয়ে পড়ে দলটি।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে তাইবুর রহমানকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন জাকের আলী। গড়েন ১৫২ রানের দারুণ এক জুটি। তাতেই প্রথম ইনিংসে লিডের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দলটি। তাইবুরকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে আবু হায়দার রনির সঙ্গে সেট ব্যাটার জাকেরকেও হারালে কার্যত কঠিন হয়ে যায় সে স্বপ্ন।
রবিউল হক ও হাসান মুরাদ শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২০ রানের জুটি গড়ে উইকেটে আছেন। ফলে ৯ উইকেটে ২২৩ রানে দিন শেষ করেছে তারা। এখনও ২২ রানে পিছিয়ে আছে দলটি। আগামীকাল এ দুই ব্যাটারের উপরই নির্ভর করছে আদৌ লিড নিতে পারবে কি-না দলটি।
মধ্যাঞ্চলের পক্ষে দারুণ ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন জাকের। ১৮০ বলে ৯২ রান করে তানভিরের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। তাইবুরের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রান। ১৯৮ বলে ১১টি চারে এ রান করেন তিনি।
পূর্বাঞ্চলের পক্ষে ৪৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান পায়েল। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন এনামুল, নাঈম ও তানভির।
দিনের অপর ম্যাচে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে উত্তরাঞ্চল। এদিন নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে পড়ে দলটি। ফলে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে আর ১৩৯ রান যোগ করতে পারে তারা। ফলে প্রথম ইনিংসে ৩৮৫ রানে অলআউট হয় তারা।
এদিন ইনিংস খুব একটা লম্বা করতে পারেননি আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নাঈম ইসলাম। নাসুমের শিকার হওয়ার আগে খেলেছেন ১৩৭ রানের ইনিংস। ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। পারেননি মাহিদুল ইসলাম অংকনও। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে তিনিও শিকার হন নাসুমের। ১৮৪ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৯২ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৬ রান করেন শরিফুল্লাহ।
দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে ১২৬ রানের খরচায় ৬টি উইকেট নেন নাসুম। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান নাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১২২ রান তুলে দিন শেষ করেছে দক্ষিণাঞ্চল। তৌহিদ হৃদয় ৩৯ ও অমিত হাসান ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।
Comments