হতাশায় 'হাত কেটে ফেলার' কথাও ভেবেছেন উইলিয়ামসন

kane williamson
ছবি: এএফপি

কনুইয়ের চোটে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠেছেন নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। একবার সেরে উঠে ফিরলে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এ চোট। অবস্থা এতোটাই খারাপ যে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রীতিমতো হাত কেটে ফেলার কথা ভেবেছেন তিনি! স্থানীয় সংবাদমাধ্যম স্টাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন কিউই অধিনায়ক।

উইলিয়ামসন এ ইনজুরিতে ভুগছেন ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েই শঙ্কা ছিল তার। তবে সে আসরে খেলতে পারলেও ভারত সিরিজে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি। এরপর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষেও থাকতে পারেননি। গত আইপিএলেও বেশ কিছু ম্যাচ করেছেন।

সে ধারায় এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও খেলা হচ্ছে না তার। এ সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের টেস্ট দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে নাম নেই তার। তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথাম।

সবমিলিয়ে এই চোটে ক্লান্তি এসে গেছে উইলিয়ামসনের, 'এটা (হাত) কেটে ফেলি... আমি কয়েকবার এমনটা ভেবেছি। এই চোট নিয়ে লড়াইয়ের গল্পটা প্রত্যেকের আলাদা। আমি অবশ্যই আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু এখন আর না। সত্যি বলতে, দিনের পর দিন এটা সহ্য করা খুবই কঠিন।'

কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এবং অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথও একই ইনজুরিতে ভুগেছেন দীর্ঘসময়। তাদের কাছ থেকেও পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু কার্যকরী কোনো উত্তর খুঁজে পাননি তিনি, 'আমি এমন অনেক লোকের গল্প শুনেছি যারা এর মধ্য দিয়ে গিয়েছে এবং সেগুলো শুরুতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমি আমার এ লড়াইয়ের শেষটা জানতে সত্যিই কৌতূহলী।'

ফের মাঠে ফেরার জন্য অবশ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উইলিয়ামসন। পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে প্রতি দুদিন পর পর হালকা ব্যাটিং সেশন করছেন। বর্তমানে তার ব্যথার ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে না।

আগামী মাসে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেট দিয়ে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন উইলিয়ামসন। একই সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফেরার দিকেও নজর দিচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago