ঘরের মাঠে আবার হোঁচট ইউনাইটেডের

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে রেখে খেলতে নামা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে গেল প্রথমার্ধের শেষদিকে। পাল্টা আক্রমণ নির্ভর কৌশল বেছে নিয়ে গোটা ম্যাচে সমানতালে লড়তে থাকা এভারটন সমতায় ফিরল দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি। এরপর দুই দল আরও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও জালের নিশানা খুঁজে পেল না কেউ। ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে ফের পয়েন্ট হারানোর হতাশায় পুড়তে হলো রেড ডেভিলদের।
শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এভারটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ওলে গানার সুলশারের শিষ্যরা। ফরাসি ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি মার্শিয়াল স্বাগতিকদের লিড দেওয়ার পর কোচ রাফায়েল বেনিতেজের দলের পক্ষে গোল শোধ করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার অ্যান্ড্রস টাউনসেন্ড। প্রিমিয়ার লিগের আগের ম্যাচে নিজেদের মাঠেই অ্যাস্টন ভিলার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ইউনাইটেড।
৭২ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখা ইউনাইটেড গোলমুখে ১৩টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ছয়টি। অন্যদিকে, সফরকারী এভারটনের ১২টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল দুটি।
ষষ্ঠ মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে ইউনাইটেড। তবে অ্যারন ওয়ান-বিসাকার ক্রসে মার্শিয়ালের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১০ মিনিট পর স্বাগতিকদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় এভারটন। টাউনসেন্ডের ফ্রি-কিকে মাইকেল কিন মাথা ছোঁয়ালেও তা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি গোলরক্ষক দাভিদ দে গেয়াকে।
পাঁচ মিনিট পর এভারটনের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের দক্ষতায় গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় ইউনাইটেডের। ফ্রেদের দারুণ ক্রসে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এদিনসন কাভানির হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ৩৩তম মিনিটে ডেমারাই গ্রের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন দে গেয়া।

৪৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের উল্লাসে মাতে ম্যান ইউনাইটেড। ম্যাসন গ্রিনউড আড়াআড়ি পাস দেন ব্রুনো ফার্নান্দেসকে। তিনি ভালো জায়গায় থাকলেও নিজে শট না নিয়ে খুঁজে নেন মার্শিয়ালকে। ডি-বক্সের বামদিক থেকে জোরালো কোণাকুণি শটে পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন তিনি।
৫৭তম মিনিটে কাভানির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ৩৬ বছর বয়সী পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনালদো। তবে আট মিনিট পরই চোখ ধাঁধানো পাল্টা আক্রমণে লড়াইয়ে সমতা টানে এভারটন। গ্রে বামদিক দিয়ে উপরে উঠে বল দেন আবদুলাইয়ে ডোকোরেকে। তার কাছ থেকে পাস পেয়ে নিখুঁত শটে জাল কাঁপান টাউনসেন্ড। দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না স্প্যানিশ গোলরক্ষক দে গেয়ার।
৭৫তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে রোনালদোর শট লক্ষ্য খুঁজে নিতে পারেনি। সাত মিনিট পর পল পগবার দূরপাল্লার শট চলে যায় পোস্টের একটু উপর দিয়ে। চার মিনিট পর ইউনাইটেডের জালে ফের বল পাঠিয়েছিল এভারটন। কিন্তু ইয়েরি মিনা দে গেয়াকে ফাঁকি দেওয়ার আগে অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় গোলটি।
সাত ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে আছে আসরের সফলতম ক্লাব ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা এভারটনের অবস্থান তিনে। এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। তারা গোল ব্যবধানে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
Comments