চট্টগ্রামের মুমিনুল-মাহমুদুল ও বরিশালের সোহাগের সেঞ্চুরি

Mominul Haque
ফাইল ছবি

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বিশাল এক জুটি গড়লেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক। দুজনেই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। তাদের নৈপুণ্যে বড় স্কোরের পথে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। আরেক ম্যাচে সোহাগ গাজীর ঝড়ো শতরানে বরিশাল বিভাগ পেয়ে গেছে ভালো সংগ্রহ।

রোববার জাতীয় লিগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে দ্বিতীয় স্তরের দুই ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে ব্যাটাররা।

সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ৩১৬ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। মাহমুদুল ১৯৫ বলে ৯ চারের সাহায্যে করেন ১১২ রান। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। ১৪১ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ১১ চার। তৃতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ২০৮ রান।

চট্টগ্রামকে ভালো শুরু এনে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও পিনাক ঘোষ। ওপেনিং জুটিতে তারা আনেন ৮০ রান। ৪৩ করা পিনাককে ফিরিয়ে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন শহিদুল ইসলাম। সঙ্গীকে হারিয়ে ইমনও থাকেননি বেশিক্ষণ। ৪৪ করে তিনি শিকার হন আবু হায়দার রনির। এরপর ক্রিজে ৫০ ওভারের বেশিও সময় কাটিয়ে দেন মাহমুদুল ও মুমিনুল। তবে দিনের শেষভাগে তাদেরকে ফেরাতে সমর্থ হয় ঢাকা মেট্রো। উইকেটে আছেন নাইটওয়াচম্যান নাঈম হাসান ১০ ও ইয়াসির আলী চৌধুরী ১ রানে।

কক্সবাজার একাডেমি মাঠে ওভারপ্রতি চার করে রান তোলা বরিশাল দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ৩৬০ রানে। তাদের প্রায় সব ব্যাটারই পেয়েছেন রানের দেখা। ছয়ে নেমে সোহাগ ১১৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন মাত্র ৯৫ বলে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ১০ ছক্কা।

শুরুর দিকে ওপেনার রাফসান আল মাহমুদকে ফেরাতে পেরেছিল রাজশাহী বিভাগ। কিন্তু তাদের আনন্দ উবে যায় ফজলে মাহমুদের ঝড়ে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। ৫৯ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ করে মাহমুদ বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। আউট হওয়ার আগে আশরাফুলও তুলে নেন ফিফটি। তিনি ১০৮ বলে করেন ৫০ রান। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার।

ছবি: সংগৃহীত

১৮৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ১৬৪ রানের বিশাল এক জুটি পায় বরিশাল। তাতে দলটির সংগ্রহ ছাড়িয়ে সাড়ে তিনশ। বলা বাহুল্য, শামসুল ইসলাম অনিকের সঙ্গে গড়া জুটিতে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক সময়ের নিয়মিত মুখ সোহাগ। অনিক ফিফটি তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন ১০৮ বলে ৫৬ রানে। তার সঙ্গী মনিরের সংগ্রহ ১ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে রংপুর বিভাগ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে বিনা উইকেটে ৮২ রান তুলে দিনশেষে রংপুর পিছিয়ে আছে মাত্র ৩১ রানে। মাইশুকুর রহমান ৪২ ও জাহিদ জাভেদ ২৬ রানে খেলছেন।

স্বাগতিকদের পক্ষে ১২১ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওপেনার সায়েম আলম রিজভি। রংপুরের পেসার রবিউল হক ৪ উইকেট নেন ২৬ রানে। এছাড়া, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ পান ৩টি করে উইকেট।

এই স্তরের আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৩১ রান তুলেছে খুলনা বিভাগ। সিলেট একাডেমি মাঠে বিপর্যয়ে পড়ার পর জুটি বেঁধে দলটিকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটির সংগ্রহ ১১২ রান। নাহিদুল ১২০ বলে ৭৩ ও মিরাজ ৭৯ বলে ৫১ রানে খেলছেন। ঢাকার পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেন এনামুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপু।

Comments

The Daily Star  | English

How frequent policy shifts deter firms from going public

If a company gets listed, it will enjoy tax benefits, and this is one of the major incentives for them to go public..However, the government’s frequent policy changes have disheartened listed firms many times, as they faced higher tax rates once they got listed..It gave a clear, nega

1h ago