অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি 'ঘরের মেয়ে' বার্টি

অপ্রতিরোধ্য গতিতে শুরু করেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর নারী টেনিস তারকা অ্যাশলি বার্টি। তিনি শেষও করলেন একই ছন্দে।
ছবি: রয়টার্স

অপ্রতিরোধ্য গতিতে শুরু করেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর নারী টেনিস তারকা অ্যাশলি বার্টি। তিনি শেষও করলেন একই ছন্দে। ঘরের মেয়ের হাত ধরে অবসান হলো অস্ট্রেলিয়ার ৪৪ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা। ১৯৭৮ সালের পর ছেলে ও মেয়েদের একক মিলিয়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেন দেশটির কোনো খেলোয়াড়।

শনিবার মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় সরাসরি সেটে যুক্তরাষ্ট্রের ড্যানিয়েলে কলিন্সকে হারিয়ে মেয়েদের এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বার্টি। আসরের শীর্ষ বাছাই এই তারকা জিতেছেন ৬-৩, ৭-৬ (৭-২) গেমে।

ফাইনালের প্রথম সেট অনায়াসে জেতেন ২৫ বছর বয়সী বার্টি। দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠা কলিন্স। তিনি এগিয়ে যান ৫-১ গেমে। তবে গোটা আসরে একটি সেটও না হারা বার্টি তো হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন!  তিনি একের পর এক পয়েন্ট আদায় করে লড়াই নিয়ে যান টাইব্রেকারে। এরপর কলিন্স আর তাল ধরে রাখতে পারেননি। ৭-২ ব্যবধানে জিতে উল্লাসে মাতেন বার্টি।

৪২ বছর পর কোনো অজি মেয়ে টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন বার্টি। তার চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্যেই কেটেছে খরা। পুরো আসরে সাত ম্যাচ খেলে সবকটিতে সরাসরি ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। কোনো সেট না হারার বিপরীতে তিনি বগলদাবা করেছেন ১৪টি সেট।

নিজেদের মাটিতে খেলা হওয়ায় প্রত্যাশার বাড়তি চাপ ছিল বার্টির ওপর। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ১২ হাজার দর্শকের পাশাপাশি গোটা অস্ট্রেলিয়ার ভক্ত-সমর্থকদের চোখ ছিল এই ফাইনালের দিকে। কিন্তু বার্টির মধ্যে স্নায়ুচাপে ভোগার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন নির্ভার। কোণাকুণি ফোরহ্যান্ডে ম্যাচ পয়েন্ট আদায় করে স্মরণীয় অর্জনের মুহূর্তে অবশ্য গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেন তিনি।

শিরোপা উঁচিয়ে ধরা বার্টি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, 'আমি কিছুটা হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছি। পর্দার আড়াল থেকে যারা কাজ করেছেন, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এরকম একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞের দরকার পড়ে। এই প্রতিযোগিতাটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকছে।'

অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় হিসেবে প্রায় অর্ধ-শতাব্দী পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিততে পারায় স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ গর্ব হচ্ছে তার, 'আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। একজন অজি হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। সবাইকে ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আবার দেখা হবে।'

সবশেষ অজি খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন ক্রিস্টিন ও'নিল। ১৯৭৮ সালে মেয়েদের এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। দাপুটে পারফরম্যান্সে তার উত্তরসূরি হয়েছেন বার্টি। সবমিলিয়ে এটি তার তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ২০১৯ সালে তিনি জিতেছিলেন ফরাসি ওপেনের শিরোপা। গত বছর তার হাতে উঠেছিল উইম্বলডন।

Comments

The Daily Star  | English

Trade at centre stage between Dhaka, Doha

Looking to diversify trade and investments in a changed geopolitical atmosphere, Qatar and Bangladesh yesterday signed 10 deals, including agreements on cooperation on ports, and overseas employment and welfare.

2h ago