পারল না বাংলাদেশ, সিরিজ দ.আফ্রিকার

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন ইমরুল কায়েস, ছবি: এএফপি

মাথার উপর ৩৫৩ রানের পাহাড়। তা টপকে বাংলাদেশ জিতে যাবে এমন আশা হয়ত কেউই করেননি। এবিডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবে ইনিংস বিরতিতেই ম্যাচের ফল যেন অনেকটা নির্ধারিত। তবে রান তাড়ায় মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসের জুটিতে একটা সময় আশাও জেগেছিল। সে আশায় গুড়েবালি এই জুটে ভাঙতেই । এরপর যে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে পুরো ইনিংস। ২৪৯ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশ হেরেছে  ১০৪ রানে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই তাই সিরিজ পকেটে পুরল ফাফ ডু প্লেসিরা।

৩৫৪ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরুটা হয়েছিল স্বস্তির। চোট থেকে ফেরা তামিম ইকবাল খেলছিলেন ছন্দে, সঙ্গী ইমরুল কায়েসের ব্যাটেও বল লাগছিল স্বচ্ছন্দে। ৮ম ওভারে ৪৪ রানে গিয়ে প্রথম আঘাত। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের স্লোয়ার বুঝে উঠতে সময় লাগল তামিমের। তার আগেই আঙুল উঠে গেল আম্পায়ারের। আগের ম্যাচের ওপেনার লিটন দাস এদিন নেমেছিলেন ওয়ান ডাউনে। চার আর ছক্কা দিয়ে শুরু করে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ওই পূর্বাভাস খানিক পরেই থামান আন্দেল ফেলেকুওয়ে।

৬৯ রানে দুই উইকেট হারানো দল এরপরও দিশা পায় ইমরুল-মুশফিকের জুটিতে। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়ে তুলেন ৯৩ রানের জুটি। তাতে হাতে ৮ উইকেট রেখে শেষ ২০ ওভারে ৯ করে রানের সমীরণ চলে এসেছিল। টি-টোয়েন্টির যুগে যা অনেকটাই সম্ভব। তবে হলো কই? এক উইকেটই যেন ডেকে আনে আরেকটি। ইমরুল কায়েস আর সাকিব আল হাসানকে পর পর আউট করে জোড়া আঘাত হানলেন ইমরান তাহির।এ ম্যাচে লাইফলাইন পাওয়া ইমরুল ৭৭ বলে ৬৮ রান করে কুপোকাত হন তাহিরের গুগলিতে। খানিকপর স্লাইডার দিয়ে সাকিবকে ছেঁটে ফেলেন এই লেগ স্পিনার। তা দেখেই যেন খেই হারালেন পরের ব্যাটসম্যানরা। ১৬২ থেকে ২৪৯। ৮৭ রানেই পড়ল বাকি ৮ উইকেট।

সাকিব, সাব্বির, নাসির। এই তিনজন ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ। মাঝে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে কিছুটা অক্সিজেন যোগান মাহমুদউল্লাহ। এতে অবশ্য কেবল পরাজয়ের ব্যাবধানই বেড়েছে। ৪০ রানে চার উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের বোলিং হিরো আন্দেল ফেলেকুওয়ে।নাসিরের স্টাম্প উড়িয়েছেন তিনি, মাশরাফিকে কাবু করেছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে। তাহিরকে তৃতীয় উইকেট উপহার দিয়ে আগেই ফিরে গেছেন সাব্বির।

৭০ বলে ৬০ রান করেন মুশফিক, ছবি: এএফপি
এর আগে  টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে  ৬ উইকেটে ৩৫৩  রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভিলিয়ার্স একাই করেন ১০৪ বলে বলে ১৭৬ রান। দলের ৯০ রানে দুই উইকেট হারানোর সময় নেমেছিলেন। এবিডি ভিলিয়ার্স আউট হয়েছে দলকে সাড়ে তিনশর কাছে নিয়ে। তার তাণ্ডবে বেসামাল অবস্থা হয়ে যায় টাইগার বোলারদের। ভিলিয়ার্সকে থামিয়েছেন রুবেল হোসেন। পুরো সিরিজে বিবর্ণ রুবেলই যা এদিন একটু তেতে উঠেছিলেন। ৬২ রানে পেয়েছেন চার উইকেট। ১০ ওভার পুরো করে সাকিবের শিকার ৬০ রানে দুই উইকেট। এই দুজন ছাড়া উইকেট পাননি আর কেউ। মার খেয়েছেন সবাই, হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে সহজ ক্যাচও। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আরেকটা হতাশার দিন পার করল বাংলাদেশ।

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে রোববার ইস্ট লন্ডনে নামবে মাশরাফির দল। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt cuts interest rates on savings tools

Finance ministry lowers rates on four key savings instruments

3h ago