আফ্রিকার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে সালাহ-মানে-মেন্ডি

২০২২ সালের আফ্রিকান ফুটবল অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারের জন্য তিনজন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করেছে কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল (সিএএফ)। এরমধ্যেই দুইজনই সেনেগালারের খেলোয়াড়। সাদিও মানের সঙ্গে রয়েছেন দলটির গোলরক্ষক এডোয়ার্ড মেন্ডিও। তৃতীয় খেলোয়াড় মিশরের মোহামেদ সালাহ।
মরক্কোর রাবাতে আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম। দুই স্ট্রাইকারই এ পুরস্কার জয়ের জন্য ফেভারিট। সালাহ এবং মানে দুইজনই লিভারপুলে ইয়ুর্গেন ক্লপের মূল খেলোয়াড় ছিলেন। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন কারাবাও কাপ এবং এফএ কাপ। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হয়েছেন রানার্সআপ।
লিভারপুলের হয়ে গত মৌসুমে ৫১টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন সালাহ। করেছেন ৩১টি গোল। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১৬টি গোল। মানেও খেলেছেন সালাহর সমান ৫১টি ম্যাচ। ২৩টি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৫টি গোল। যদিও সালাহর চেয়ে কম সময় মাঠে ছিলেন মানে।
একদিক থেকে সালাহর চেয়ে বেশ এগিয়ে মানে। জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত সময় কেটেছে সদ্য বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়া এ ফরোয়ার্ডের। গত বছর আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে সালাহর মিশরকে পরাজিত করেই চ্যাম্পিয়ন হয় মানের সেনেগাল। এছাড়া সালাহর মিশরকে বিদায় করে বিশ্বকাপ মঞ্চেও জায়গা করে নেয় মানের দল।
তবে ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল মেন্ডিরও। পেনাল্টি শুটআউটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন চেলসি গোলরক্ষক। তবে ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমটা ভালো যায়নি। কারাবাও কাপ এবং এফএ কাপ ফাইনালে তারা হারে লিভারপুলের কাছে। তাও আবার টাই-ব্রেকারে। যদিও কেবল এফএ কাপের ফাইনালে টাই-ব্রেকারে ছিলেন মেন্ডি।
এছাড়াও পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য বর্ষসেরা গোল, আফ্রিকান দল, জাতীয় দল, কোচ, তরুণ খেলোয়াড়, ইন্টারক্লাব প্লেয়ার এবং বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার প্রদান করবে সিএএফ।
Comments