আমি জানি না মেসির সম্পর্কে আর কী বলার আছে: স্কালোনি

ছবি: টুইটার

আর্জেন্টিনার হয়ে আগেও সাতটি হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি। সেই তালিকায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মতো প্রতিপক্ষও রয়েছে। তবে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের স্বাদটি নিশ্চয়ই আলাদা করে তার মুখে লেগে থাকবে। কারণ, তিন গোল করেই থেমে যাননি তিনি। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে পেয়েছেন পাঁচ গোল! শিষ্যের এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি অনুভূতি প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।

রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসির জাদুকরী ফুটবল উপহার দেওয়ার মঞ্চে গোলবন্যায় ভেসেছে এস্তোনিয়া। রোববার রাতে স্পেনের স্তাদিও এল সাদারে প্রীতি ম্যাচে তাদেরকে ৫-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে আলবিসেলেস্তেরা। সবকটি গোলই এসেছে ৩৪ বছর বয়সী মেসির পা থেকে। একপেশে লড়াইয়ের ৮, ৪৫, ৪৭, ৭১ ও ৭৬ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে কোপা আমেরিকার শিরোপাধারীদের বড় জয় পাইয়ে দেন তিনি।

স্কালোনি ইতালির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার লা ফিনালিসিমার শুরুর একাদশে আট পরিবর্তন আনলেও জায়গা ধরে রাখেন মেসি। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে পুরো সময় খেলেন তিনি। ফুটবলের শক্তি ও ঐতিহ্যে পিছিয়ে থাকা ইউরোপের দলটি তার তোপে রীতিমতো ছারখার হয়ে যায়। মোট দশটি শট নিয়ে পাঁচ গোল আদায় করে নেন মেসি। সাতটি ড্রিবলের প্রয়াস দেখিয়ে ছয়টিতেই তিনি সফল হন। তার দেওয়া ৯৮ পাসের ৭৮টি ছিল সফল। পাসের সফলতার হার শতকরা ৮০ ভাগ। তিনবার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে রক্ষণেও অবদান রাখেন তিনি।

শেষ বাঁশি বাজার পর সংবাদ সম্মেলনে অনুমিতভাবেই মেসিকে নিয়ে মুখ খুলতে হয় স্কালোনিকে। কিন্তু শিষ্যের প্রশংসায় প্রয়োজনীয় শব্দের অভাবের কথা জানান আর্জেন্টিনার কোচ, 'আমি জানি না মেসির সম্পর্কে আর কী বলার আছে! এটা খুবই কঠিন। তাকে বর্ণনা করার মতো আর কোনো শব্দ বাকি নেই আপনার কাছে। সে যা করে সবই অনন্য। তাকে এই দলে পাওয়া আনন্দের ব্যাপার। তাকে কেবল ধন্যবাদ জানানোর শব্দগুলোই আছে আমার কাছে। তাকে খেলতে দেখা আনন্দের।'

প্রথমার্ধের শেষদিকে মেসির দ্বিতীয় গোলে বলের যোগান দেন মিডফিল্ডার আলেহান্দ্রো পাপু গোমেজ। তার রক্ষণচেরা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের ডানদিক থেকে বাঁ পায়ের কোণাকুণি শটে জাল কাঁপান মেসি। সতীর্থের চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্যের বিশ্লেষণে তিনি বলেন, 'লিও (মেসি) যা করে দেখায় তা অবিশ্বাস্য। আমরা জানি, গোলপোস্টের সামনে সুযোগ দিলে সে আপনাকে ক্ষমা করবে না।'

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

7h ago