ইউক্রেনকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপে ওয়েলস

রাশিয়ান আগ্রাসনে জ্বলছে ইউক্রেন। কাঁদছে দেশটির হাজারো মানুষ। তাদের মুখে কিছুটা হাসি এনে দিতে নিজ দেশকে বিশ্বকাপে নিতে চেয়েছিলেন ওলেকজান্ডার জিনচেঙ্কোরা। তবে তাদের হতাশ করে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ওয়েলস। ৬৪ বছর পর ফের বিশ্বমঞ্চের টিকিট পায় দলটি।
রোববার কার্ডিফে কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্লে-অফ ফাইনালে ইউক্রেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ওয়েলস। ম্যাচের একমাত্র গোলের নায়ক গ্যারেথ বেল। তার ফ্রি-কিক আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কোর মাথায় লেগে দিক বদলে জালে প্রবেশ করে।
তবে পুরো ম্যাচে প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে ইউক্রেন। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের দখলেই। ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শটও নিয়েছিল ২২টি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯টি। কিন্তু গোলটাই কেবল আদায় করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে ১০ শটের ৩টি লক্ষ্যে রেখেই গোল আদায় করে নেয় ওয়েলস।
এর আগে বিশ্বকাপে খেলেছে একবারই ওয়েলস। ১৯৫৮ সালের আসরে কোয়ার্টারে-ফাইনালে উঠেছিল। সেবার ১৭ বছর বয়সী পেলের গোলে হেরে বিদায় নেয় দলটি। ছয় দশকেরও বেশি সময় পর ফের বিশ্বকাপে খেলবে দলটি।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে একবার খেলেছিল ইউক্রেনও। ২০০৬ সালের সে আসরে তারাও উঠেছিল কোয়ার্টার-ফাইনালে। তারাও সে বছরের চ্যাম্পিয়ন দলটির কাছে হেরে বিদায় নেয়। ইতালির কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে থামে তাদের স্বপ্নযাত্রা।
এদিন অনেকটা ধারার বিপরীতে গোল আদায় করে নেয় ওয়েলস। ৩৪তম মিনিটে ইউক্রেনীয়দের স্তব্ধ করে দেন বেল। সদ্যই রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানানো এ তারকার ফ্রিকিক ইয়ারমোলেঙ্কো ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাথায় লেগে দিক বদলে ঢুকে যায় জালে। সে গোল আর শোধ করতে পারেনি দলটি।
পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলেছেন ওয়েলস গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসি। ৯টি সেভ করেছেন বার্নলির এ গোলরক্ষক। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে রুসলান মালিনভস্কির শট, একাদশ মিনিটে ইলিয়া জাবারনির শট, ২৯তম মিনিটে জিনচেঙ্কোর শট, ৫৬তম মিনিটে ভিক্তর তিশিহানকোভের শট ও ৮৪তম মিনিটে আর্তেমের হেড ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন হেনেসি।
কাতার বিশ্বকাপে 'বি' গ্রুপে খেলবে ওয়েলস। এই গ্রুপে তাদের বাকি তিন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।
Comments