‘আগে জয় উপভোগ করি, তারপর স্পেনকে নিয়ে ভাবব’

mancini_italy_belgium
ছবি: টুইটার

অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলা ইতালি পৌঁছে গেছে ইউরো ২০২০-এর সেমিফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আরেক শিরোপাপ্রত্যাশী স্পেন। তবে ওই কঠিন লড়াইয়ে নামার আগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে পাওয়া জয় পুরোদমে উপভোগ করতে চান ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি।

ইউরোতে ইতালি শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শিরোপা জেতা থেকে আর মাত্র দুই ধাপ দূরে আছে তারা। ঐতিহাসিকভাবে রক্ষণাত্মক কায়দায় খেললেও মানচিনির অধীনে আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিচ্ছে দলটি। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার ব্যর্থতা সামলে তারা আছে ভীষণ ছন্দে। চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে আজ্জুরিরা। সবমিলিয়ে তারা অপরাজিত রয়েছে টানা ৩২ ম্যাচে।

সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা বেলজিয়ামও পারেনি ইতালিকে আটকাতে। শুক্রবার রাতে জার্মানির মিউনিখে ২-১ গোলে জেতে মানচিনির শিষ্যরা। নিকোলো বারেল্লা ও লরেঞ্জো ইনসিনিয়ের লক্ষ্যভেদের পর রোমেলু লুকাকু কেবল ব্যবধানই কমাতে পারেন।

জয়ের পর ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম আরএসি ওয়ানকে মানচিনি শুনিয়েছেন তৃপ্তির কথা, ‘জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। ছেলেরা খুব দারুণ খেলেছে। নিঃসন্দেহে আমরা শেষ ১০ মিনিটে ভুগেছি। কারণ, আমরা খুবই ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু আগেই আমরা আরও গোল করতে পারতাম।’

দুই শক্তিশালী দলের জমজমাট ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে তার ভাষ্য, ‘প্রথম ২৫ মিনিটে আমরা ভুগেছি বলে মনে হয় না। দুই দলই সুযোগ পেয়েছে তখন। এটা একটা উন্মুক্ত লড়াই ছিল। আমরা কেবল শেষ ১০ মিনিটে সমস্যায় পড়েছি। কারণ, বেলজিয়াম লম্বা করে পাস দেওয়া শুরু করেছিল।’

চোখের কোণে শিরোপার স্বপ্ন উঁকি দিলেও আপাতত শিষ্যদের উপভোগের মন্ত্র দিচ্ছেন মানচিনি, ‘আমাদের ন্যূনতম কোনো লক্ষ্য ছিল না। আমরা কেবল আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। দেখা যাক, কী হয়। আমাদের এখন এই জয়টা উপভোগ করা দরকার। তারপর আমরা স্পেনকে নিয়ে ভাবব।’

আগামী মঙ্গলবার রাতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হবে ইতালি। ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

2h ago