ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো জেতার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় ইতালি
১৯৬৮ সালের পর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা হয়নি ইতালির। মাঝে দুবার অবশ্য তারা ফাইনালে উঠেছিল, ২০০০ ও ২০১২ সালে। কিন্তু দুবারই ভাঙা হৃদয়ে বিদায় নিতে হয় তাদের। ৫৩ বছরের ব্যবধানে ফের ইউরোর শিরোপা জেতার হাতছানি রয়েছে তাদের সামনে। সেই স্বপ্ন পূরণে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছেন আজ্জুরিদের তারকা মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি।
ইউরো ২০২০-এর ফাইনালে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইতালি ও ইংল্যান্ড। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
ইতালি আগে একবার চ্যাম্পিয়ন হলেও ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো উঠেছে ইউরোর ফাইনালে। এই পর্যন্ত পৌঁছাতে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধাও পেয়েছে তারা। আগের ছয় ম্যাচের পাঁচটি তারা খেলেছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। এই মাঠে সবশেষ ১৭ ম্যাচের ১৫টিতেই জিতেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভেরাত্তি বলেছেন, ওয়েম্বলিতে খেলা হলেও তারা আত্মবিশ্বাসী, ‘ইংল্যান্ড দল শারীরিক শক্তিসম্পন্ন। পাশাপাশি তাদের এমন সব খেলোয়াড় রয়েছে, যারা খুব দক্ষ। আমরা খুব, খুব শক্তিশালী একটি দলের মুখোমুখি হচ্ছি। তারা নিজেদের মাঠে খেলবে। স্টেডিয়ামটি তাদের ভালো করেই চেনা। তবে আমাদের স্বপ্ন হলো এই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা।’
‘ইতালি-ইংল্যান্ড সবসময়ই একটি বড় ম্যাচ। কেবল একজন জিতবে এবং আমি আশা করি, জয়টা আমাদেরই হবে। আমরা আমাদের সেরাটা নিংড়ে দেব।’
ফাইনালের আগ পর্যন্ত গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে মোটে একবার বল ঢুকেছে ইংল্যান্ডের জালে। সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ওই গোল হজমের আগে টানা পাঁচ ম্যাচে অক্ষত ছিল দলটির গোলপোস্ট। রক্ষণে জমাট থাকার পাশাপাশি আক্রমণভাগেও ছন্দে আছেন ইংলিশদের দুই তারকা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন ও রহিম স্টার্লিং। অধিনায়ক কেইন করেছেন চার গোল, স্টার্লিংয়ের নামের পাশে রয়েছে তিন গোল।
তাই যোগ্য দল হিসেবে ইংল্যান্ড শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে বলে মত পিএসজি তারকার, ‘আমার মতে, ইংল্যান্ড দুর্দান্ত করেছে। তারা প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে এবং এটাই অনেক কিছু বলে দেয়।’
‘তারা একটি মাত্র গোল হজম করেছে। সুতরাং, তারা খুব শক্তিশালী। তাদের দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় রয়েছে। দলটাও খুব ভারসাম্যপূর্ণ। তাই আমি মনে করি, তারা ফাইনালে ওঠার যোগ্য ছিল। এখন সবকিছু গিয়ে ফাইনালে মিশেছে। অসাধারণ ও ঐতিহাসিক একটি ফাইনাল হবে।’
তবে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো সেমিতে স্টার্লিংয়ের পাওয়া বিতর্কিত পেনাল্টি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ভেরাত্তি, ‘সম্ভবত এটা কিছুটা উদার পেনাল্টি ছিল। যদিও এটা ফুটবলেরই অংশ। তবে আমি মনে করি, এটা একটি উদার পেনাল্টি ছিল।’
Comments