টাইব্রেকার মোটেও লটারি নয়: এনরিকে
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষার সম্ভাবনা আগে থেকেই দেখছিল স্পেন। হয়েছেও সেটাই। দশ জনের দল নিয়েও লড়ে সুইসরা খেলা নিয়ে গিয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে স্পেনের জয়কে ভাগ্য বলতে রাজি নন কোচ লুইস এনরিকে। পেনাল্টি শ্যুট আউটের পেছনে তিনি দেখেন স্নায়ু চাপ জেতার মানসিকতা আর গোলরক্ষকের স্কিল।
শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিট ১-১ সমতায় ম্যাচ শেষ করে স্পেন-সুইজারল্যান্ড। পরে টাইব্রেকার পরীক্ষায় ৩-১ গোলে জিতে শেষ চারে জায়গা পেয়েছে স্পেন।
স্পেনের হয়ে পেনাল্টি শ্যুট আউটের প্রথমটিই মিস করেন সার্জিও বুসকেটস। সুইজারল্যান্ডের হয়ে প্রথম শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি মারিও গারভানোভিচ। স্পেনের হয়ে পরেরটায় জালে জড়ান ডানি ওলমো। সুইজারল্যান্ডের ফ্যাবিয়ান শার দুর্বল শটে মিস করে ফেলেন পরেরটি।
স্পেনের রদ্রির শট বা দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। কিন্তু পরের দুই পেনাল্টিও মিস করে সুইজারল্যান্ড। বাজে শটে গোল করতে ব্যর্থ হন ম্যানুয়েল আকাঞ্জি আর রুবেন ভারগাস। এরপর মিকেল ওয়ারজাবাল গোল করলে উৎসবে মাতে স্পেনিশরা।
ম্যাচ শেষে এনরিকে বলেন, কঠিন এই লড়াই জেতা মোটেও ভাগ্য পরীক্ষা ছিল না, ছিল দক্ষতার প্রমাণ, ‘মানুষ বলে পেনাল্টি নাকি লটারি, আসলে মোটেও তা নয়। এতে বরং আছে ফিটনেস, স্নায়ু চাপ জেতার ক্ষমতা আর গোলরক্ষকদের দক্ষতার প্রমাণ হয়। কোচদের অবশ্য ওই সময়টায় করার কিছুই থাকে না।’
‘আমরা সব রমমের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। খুব ধীরস্থিরভাবে পেনাল্টি নিয়েছি। গোলরক্ষক উনাই সিমোনের উপর ভরসা আছি। বাকিটা দেখার ছিল কি হয়।’
এদিন শুরুতে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল স্পেন। বিরতির পর ৬৮ মিনিটে জেরদান শাকিরি সমতায় ফিরিয়েছিলেন সুইসদের। কিন্তু ৭৭ মিনিটে রেমো ফ্রেউলার লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। বাকিটা সময় স্পেনের প্রবল সামলে সামলে টিকেছিল তারা।
সুইস ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণ করেও হতাশা বাড়া স্পেন শেষ পর্যন্ত এই বাধা পেরুতে পেরেই ভীষণ স্বস্তিতে। এনরিকে জানালেন তাদের চোখ এখনো শিরোপার দিকে, ‘আমাদের সব মনোযোগ এখন ফাইনালে উঠা নিয়ে। প্রথম থেকে বলছি সাত-আটটা দল কাপ জেতার সামর্থ্য রাখে। এখন চারটা দল বাকি।আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
Comments