সবকিছু নিংড়ে দিয়েও হারায় হতাশ চোট নিয়ে খেলা ডি ব্রুইন

গোড়ালির ছেঁড়া লিগামেন্ট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। চোট থাকলেও তার পারফরম্যান্সে ছিল না কোনো ঘাটতি। তারপরও ইতালির সঙ্গে পেরে ওঠেনি বেলজিয়াম। এতে হতাশায় আচ্ছন্ন হলেও নিজেদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি দেখছেন না ডি ব্রুইন।
শুক্রবার রাতে জার্মানির মিউনিখে ইউরো ২০২০-এর হাইভোল্টেজ কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বেলজিয়াম। তাতে তারকায় ঠাসা দলটির সোনালী প্রজন্মের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হয়েছে।
নিকোলো বারেল্লা ইতালিকে এগিয়ে দেওয়ার পর লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে প্রথমার্ধেই দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু বিরতির আগে গোল শোধ করলে ম্যাচে ছড়ায় উত্তেজনা। তবে রক্ষণ জমাট রেখে দারুণ পারফরম্যান্সে বাকিটা সময় জাল অক্ষত রেখে সেমিফাইনালে উঠেছে রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা।
আসরজুড়ে বেলজিয়ামকে ভুগিয়েছে চোট। পর্তুগালের বিপক্ষে আগের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন এডেন হ্যাজার্ড ও ডি ব্রুইন। ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল না তাদের। তবে চোট নিয়েই ডি ব্রুইন শুরু থেকে খেললেও মাঠে নামতে পারেননি অধিনায়ক হ্যাজার্ড। তাছাড়া, চোটের কারণে আগেই ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার টিমোথি কাস্টানিয়ে।
হারের পর ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনের কণ্ঠে হতাশার পাশাপাশি ঝরে দলের মেডিকেল স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ‘আমরা হতাশ। কিন্তু আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। আমরা জানতাম যে, এটা অনেক কঠিন হবে। কারণ, অনেক কিছুই আমাদের বিপক্ষে ছিল।’
‘আমাদের অনেক সমস্যা ছিল। ব্যক্তিগতভাবে, আমি নিজেও শতভাগ ফিট নই। আমি মেডিকেল স্টাফদের ধন্যবাদ জানাই। তারা অসাধারণ কাজ করেছে। তাদের জন্যই ছেঁড়া লিগামেন্ট নিয়েও আমি খেলতে পেরেছি।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকেও আরও একবার ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হবে, তা জানা আছে ডি ব্রুইনের। তবে মাঠে তাদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার বিষয়টিও মনে রাখতে বলেছেন তিনি, ‘আমরা লড়াই করেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। ইতালি প্রথমার্ধে ভালো খেলেছে। কিন্তু আমাদের সামনে সুযোগ ছিল ২-২ করার।’
‘অনেকেই আমাদের নিয়ে হতাশ হবে এবং আমাদের সমালোচনা করবে। কিন্তু আমার মনে হয়, ভক্তরা দেখেছেন যে, আমরা সবকিছু নিংড়ে দিয়েছি।’
Comments