ইকার্দির গোলে হার এড়াল পিএসজি

প্রতিপক্ষ পয়েন্ট তালিকার প্রায় তলানির দল। কিন্তু তারপরও লরিয়েঁর বিপক্ষে দাপট দেখাতে পারেনি পিএসজি। উল্টো প্রথমার্ধেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। কোনো মতে শেষ দিকে গোলটি পরিশোধ করে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে লরিয়েঁর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে পিএসজি। তমাস মঁকঁদুইতের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মাউরো ইকার্দির গোলের সমতায় ফেরে সফরকারীরা। পিএসজির হয়ে তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই লাল কার্ড দেখেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সের্জিও রামোস।
এ হোঁচটের পরও ১৯ ম্যাচে ১৪ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে আছে লরিয়েঁ।
এদিন মাঝ মাঠের দখল প্রায় একচ্ছত্রভাবে ধরে রাখলেও কিছুতেই যেন গোল মিলছিল না পিএসজির। ৭৭ শতাংশ বলের দখল ছিল তাদেরই। তবে আক্রমণে প্রায় সমান সমান ছিল দুই দল। উল্টো লক্ষ্যে একটি বেশি শট নেয় লরিয়েঁ। মোট ১৭টি শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখে পিএসজি। সমান ১৭টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকরা।
পিএসজির আক্রমণভাগ এদিন ছিল সম্পূর্ণ আর্জেন্টাইন ফুটবলারের। চোটের কারণে নেইমার ও নিষেধাজ্ঞার কারণে কিলিয়ান এমবাপে না থাকায় ফ্রন্ট লাইনে তিন আর্জেন্টাইন লিওনেল মেসি, ইকার্দি ও আনহেল দি মারিয়াকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজান স্বদেশী কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো।
এদিন ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারতো পিএসজি। সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেন তেরেম মফি। আর্মাদঁ লঁরিতেঁর থ্রু বলে গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন এ ফরোয়ার্ড। নাভাসের মাথার উপর দিয়ে চিপ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্বল শট আটকে দেন এ গোলরক্ষক। ফলে বড় বাঁচা বেঁচে যায় পিএসজি। লঁরিতেঁর জোরালো কোণাকোণি শটও ঠেকান নাভাস।
২৬তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজিও। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। মেসির শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ছয় মিনিট পর দুরূহ কোণ থেকে সুযোগ ছিল দি মারিয়ার। কিন্তু তার ভলি অনেক বাইরে দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৪০তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এনজো লি ফিয়ের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে বল জালে পাঠান মঁকঁদুইত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নুনো মেন্দেসের পরিবর্তে রামোসকে মাঠে নামান পচেত্তিনো। ৫২তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন জিওর্জিও উইনালদাম। কিন্তু লক্ষ্যেই শট নিতে পারেননি। ৫৬তম মিনিটে তো অবিশ্বাস্য এক মিস করেন দি মারিয়া। মেসির পাস থেকে ডি-বক্সে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও উড়িয়ে মারেন তিনি।
৬০তম মিনিটে লঁরিতেঁর আরও একটি দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান নাভাস। চার মিনিট পর দি মারিয়া ফের শট বারপোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। ১০ মিনিট পর তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিজের ট্রেডমার্ক শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে দলটির।
৮০তম মিনিটে দি মারিয়ার বাড়ানো বলে মেসির দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ঠেকান স্বাগতিক গোলরক্ষক পল নার্দি। পরের মিনিটে মেসির আরও একটি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান এ গোলরক্ষক। ৮৬তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় পিএসজি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রামোস। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন এ ডিফেন্ডার।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে সমতাসূচক গোলটি করেন ইকার্দি। আশরাফ হাকিমির কাটব্যাক থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এ আর্জেন্টাইন। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
Comments