ইয়াসিনের 'আমেজিং' অনুভূতি
শক্তি বিচারে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে তো যোজন যোজন পিছিয়ে। ৮২ ধাপ। সেখানে আবার এক গোল হজম করে লাল কার্ডের কারণে একজন খেলোয়াড়ও পিছিয়ে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান ইয়াসিন আরাফাত খান। এমন অনুভূতি কি অসাধারণ না হয়ে পারে। এক কথাতেই জানালেন 'আমেজিং'।
সোমবার মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে শক্তিশালী ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মূল্যবান একটি পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে সুনীল ছেত্রির গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ইয়াসিনের গোল সমতায় ফেরে বেঙ্গল টাইগাররা।
অথচ বিশ্বনাথ ঘোষের লাল কার্ডে মনে হয়েছিল সব আশাই শেষ। বড় হারও মানতে হতে পারে। তার উপর শক্তিশালী দলের বিপক্ষে পাওয়া সুবর্ণ তিনটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ফরোয়ার্ডরা। সতীর্থদের ব্যর্থতা ঢাকতেই যেন গোল করার কাজটাও করলেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জয় এসেছ আরেক ডিফেন্ডার তপু বর্মণের গোল থেকে।
ম্যাচ নিজের উচ্ছ্বাসটা এভাবেই প্রকাশ করলেন ইয়াসিন, 'আমাকে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। আমি সেই সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা ম্যাচ জুড়ে আমাদের সমর্থন করেছেন। এমন গোল পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার এবং আপনি যদি আমার অনুভূতি জানতে চান বলব, আমেজিং।'
ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে গোলটি করেছিলেন ইয়াসিন। জামাল ভুঁইয়ার কর্নার থেকে রাকিব হাসানের নেওয়া হেড একেবারে ফাঁকা পোস্টে পেয়ে যান তিনি। আলতো হেডে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি এ ডিফেন্ডারের। বাংলাদেশ পায় মূল্যবান এক পয়েন্ট।
সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের জয়ের খুব কাছাকাছি ছিল বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। শুধু সে ম্যাচই না, এমন অনেক ম্যাচেই ভারতের সঙ্গে এগিয়ে থেকেও জয় পাওয়া হয়নি তাদের। এবার উল্টো চিত্রটা দেখল ভারত। আর এর মূল কারিগরই ইয়াসিন। অনুভূতিটা তাই তার সত্যিই অসাধারণ।
Comments