এমবাপের বিতর্কিত গোল: কেন অফসাইড হয়নি?

থিও হার্নান্দেজ যখন বল বাড়ান তখন পরিষ্কার অফসাইড অবস্থানেই ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু তারপরও অফসাইডের বাঁশি বাজাননি রেফারি। এমনকি ভিএআরেও টিকে যায় সে গোল। এ নিয়ে বিতর্কের শেষই হচ্ছে না। কেন অফসাইড দিলেন না রেফারি?

রোববার রাতে ইতালির মিলানের সান সিরোতে স্পেনকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ফ্রান্স। অথচ মিকেল ওয়ারজাবালের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লুইস এনরিকের দল। তবে সে লিড ধরে রাখতে পারেনি দলটি। করিম বেনজেমার গোলে সমতায় ফেরার পর দলকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন এমবাপে। যে গোল নিয়েই যতো বিতর্ক।

হার্নান্দেজের বাড়ানো বলটি ঝাঁপিয়ে আটকাতে চেয়েছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। প্রথম দেখায় মনে হয়েছিল পায়ে লেগেছিল বল। যে কারণে হয়তো অফসাইডের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন রেফারি-লাইন্সম্যানরা। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্পর্শ করতে পারেননি গার্সিয়া। কিন্তু তারপরও সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে যায়। গার্সিয়া বল ধরার চেষ্টা করার কারণেই অফসাইডের বাঁশি বাজাননি রেফারি।

পরে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের প্রতিরোধে এই কথা বলেন রেফারি। গার্সিয়ার বলে স্পর্শ না করলেও তার বাধা দেওয়ার চেষ্টাই আক্রমণ করা খেলোয়াড়কে ঢুকতে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে এমন সিদ্ধান্তে বেজায় খেপেছেন স্প্যানিশ খেলোয়াড়রা। অধিনায়ক সের্জিও বুসকেতস এ যুক্তিকে 'ভিত্তিহীন' বলে উল্লেখ করেছেন।

ম্যাচ শেষে এল চিরিঙ্গিতো টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্প্যানিশ অধিনায়ক বলেছেন, '(দ্বিতীয় গোলটি) মাঠে আমাদের কাছে অফসাইড মনে হয়েছে। কিন্তু রেফারি আমাদের বলেছে এরিক বল ধরার চেষ্টা করেছে। এ কারণে অফসাইড বাতিল হয়ে যায়। এই কথার কোনো মানেই নেই। সে বলটি আটকাতে চেয়েছিল কিন্তু সে খেলেনি কিংবা বল হারায়নি।'

গোলটি অফসাইড বলে দাবি করলেন গার্সিয়াও, 'এটা পরিষ্কার অফসাইড। রেফারি আমাকে বলেছে আমি বল ধরার চেষ্টা করেছি। আমার কি করা উচিৎ ছিল? এক পাশে দাঁড়িয়ে তাকে ঢুকতে সাহায্য করা? এটাই নিয়ম!'

Comments

The Daily Star  | English
consensus commission bicameral parliament proposal

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

5h ago