এমবাপে ইস্যুতে ওঠা অভিযোগে পিএসজি সভাপতির প্রশ্ন, 'তেবাস কে?'

স্প্যানিশ লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস গত কিছুদিন ধরে ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। মূলত, কিলিয়ান এমবাপে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ না দেওয়ার পর থেকে ক্লাব দুটির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তিনি। এমনকি গত সপ্তাহে 'ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে' লঙ্ঘনের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উয়েফার কাছে অভিযোগও করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। এতদিন চুপ থাকলেও অবশেষে তেবাস ও লা লিগার অভিযোগের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি।
স্বপ্নের ঠিকানা রিয়ালে যাওয়ার খুব কাছে ছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা এমবাপে। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে লা লিগার সফলতম ক্লাবটিকে বিস্ময় ও হতাশা উপহার দিয়ে তিনি পিএসজিতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফরাসি লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নতুন করে তিন বছরের চুক্তি করে ২৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। পিএসজি খোলাসা না করলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চুক্তির মাধ্যমে এমবাপেকে ধরে রেখেছে তারা। তখন থেকেই ভীষণ চটে আছেন লা লিগা সভাপতি তেবাস। তার দাবি, পিএসজি ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী ম্যান সিটি কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করছে ফুটবলারদের পিছনে।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে পিএসজির বিরুদ্ধে 'ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে' ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এমবাপের সঙ্গে নতুন চুক্তির পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে বিষয়টি। ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার পাশাপাশি ফ্রান্সের আদালতেও অভিযোগ করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কার কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেবাস ও লা লিগার অভিযোগ নিয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে খেলাইফি বলেছেন, 'তেবাস কে? আমি এই ব্যক্তিকে চিনি না। অন্য ক্লাব, অন্যান্য লিগ বা ফেডারেশনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা আমাদের বৈশিষ্ট্য নয়। এটা একদমই আমাদের বৈশিষ্ট্য নয়। কিন্তু অন্যরা আমাদের জ্ঞান দিবে, আর আমরাও তা মেনে নিব, এমন না। তিনি যা-ই বলুন না কেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।'
নিজেদের পরিকল্পনায় মনোযোগী পিএসজি সভাপতি জানিয়েছেন, তিনি একদমই চিন্তিত নন, 'সত্য হলো আমরা বছরের পর বছর ধরে এই বিষয়ে কথা বলে আসছি। আমরা একটি ফুটবল প্রকল্প তৈরি করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যেতে যাচ্ছি। গণমাধ্যমে যা কিছু প্রকাশিত হয়, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কারণ, গণমাধ্যমে যা কিছু বেরোয়, তা নিয়ে ভেবে আমরা সময় নষ্ট করতে পারি না।'
Comments