এস্পানিয়লের কাছে হেরে গেল রিয়াল

আগের সাত ম্যাচের পাঁচটিতে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বাকি দুটিতে ড্র করেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। কিন্তু তাদের অপরাজিত থাকার যাত্রায় ছেদ টানল এস্পানিয়ল। স্প্যানিশ লা লিগার এবারের মৌসুমে লস ব্লাঙ্কোসদের প্রথম হারের তেতো স্বাদ দিল তারা।
রবিবার প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে রিয়াল। রাউল দে তমাস এস্পানিয়লকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যালেক্স ভিদাল। এরপর করিম বেনজেমা এক গোল শোধ করলেও ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি স্পেনের সফলতম ক্লাবটির।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের এটি টানা দ্বিতীয় হার। আগের ম্যাচে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নবাগত শেরিফ তিরাসপুলের কাছে একই ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
ম্যাচের ৬৬ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখা রিয়াল গোলমুখে ১৮টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে চারটি। বিপরীতে, এস্পানিয়লও চারটি শট লক্ষ্যে রাখে আটটির মধ্যে।
ষষ্ঠ মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যান রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তার পাসে বেনজেমা যে শট নেন, তা লুফে নেন এস্পানিয়ল গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজ। তিন মিনিট পর দূরপাল্লার শটে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার পরীক্ষা নেন আদ্রিয়ান এমবারবা।
দারুণ খেলতে থাকা স্বাগতিকরা এগিয়ে যায় ১৭তম মিনিটে। ছয় গজের বক্সে এমবারবা ক্রস ফেলার পর খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন দে তমাস। ৩৯তম মিনিটে তাদের দুজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফের ভীতি ছড়ায় রিয়ালের রক্ষণে। তবে এমবারবার পাসে দে তমাসের শট লক্ষ্যে থাকেনি।
বিরতির পর ম্যাচের ৫০তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় রিয়ালের। এদার মিলিতাও ছয় গজের বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড নেন। দশ মিনিট পর রিয়ালকে স্তব্ধ করে ব্যবধান বাড়ায় এস্পানিয়ল। কেইদি বারে দ্রুত ফ্রি-কিক নেওয়ার পর কোর্তয়াকে পরাস্ত করেন বার্সার সাবেক ডিফেন্ডার ভিদাল।
তিন মিনিট পর সার্জি দারদার নিশানা ভেদ করতে পারলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল বাইরে মারেন তিনি। আট মিনিট পর ব্যবধান কমায় রিয়াল। লুকা ইয়োভিচের কাছ থেকে বল পেয়ে একক নৈপুণ্যে ডি-বক্সে ঢুকে লোপেজকে ফাঁকি দিয়ে জাল কাঁপান ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমা।
রিয়াল এরপর বেশ কিছু আক্রমণ চালালেও সফল হয়নি। ৮০তম মিনিটে বেনজেমার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। পাঁচ মিনিট পর তার আরেকটি ডাইভিং হেড পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি রিয়ালের সাবেক গোলরক্ষক লোপেজকে। যোগ করা সময়ের শেষদিকে মিলিতাওয়ের হেড চলে যায় পোস্টের অনেক উপর দিয়ে।
হারলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রিয়াল। ৮ ম্যাচে তাদের অর্জন ১৭ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। ১৩ নম্বরে থাকা এস্পানিয়লের পয়েন্ট ৯।
Comments