কোপার ফাইনাল দি মারিয়ার হবে, আগেই বলেছিলেন মেসি

আনহেল দি মারিয়ার লক্ষ্যভেদ পার্থক্য গড়ে দিল ম্যাচে। তার কল্যাণে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠল তার হাতে। অর্থাৎ ফাইনালটা হয়ে থাকল দি মারিয়াময়। আর এমনটা যে ঘটবে, তা নাকি আগেই বলেছিলেন আলবিসেলেস্তেদের দলনেতা লিওনেল মেসি।
রবিবার সকালে মারাকানা স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। তাতে কোনো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে তাদের। ফাইনালের ২২তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি আসে দি মারিয়ার পা থেকে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে নিজেদের প্রথম আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা করে ডান প্রান্তে আড়াআড়ি পাস দেন রদ্রিগো দে পল। বল ক্লিয়ার করার সুযোগ থাকলেও ব্যর্থ হন ব্রাজিলের লেফট-ব্যাক রেনান লোদি। প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ চিপে গোলরক্ষক এদারসনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান দি মারিয়া। এই লিড ধরে রেখে শেষ হাসি হাসে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে চোটের কারণে খেলা হয়নি দি মারিয়ার। একই কারণে ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। মাঝে ২০১৫ কোপার ফাইনালে মাঠে নামলেও প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে উঠে যেতে হয় তাকে। বলা বাহুল্য, তিনটি ফাইনালেই হেরেছিল আর্জেন্টিনা।
এবার আর হতাশা সঙ্গী হয়নি পিএসজি উইঙ্গার দি মারিয়ার। ফাইনালে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক তিনিই। ম্যাচের পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছিল তা জানান তিনি, ‘(ফাইনালের আগে) সে আমাকে বলেছিল যে, এটা আমার ফাইনাল হবে। যে ফাইনালগুলোতে আমি খেলতে পারিনি, সেগুলোর ফিরতি ম্যাচ হবে। আজই তা হওয়ার কথা ছিল আর সেটাই হয়েছে।‘
বারবার ফাইনালের মঞ্চে পরাস্ত হলেও দুই চোখে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ছিল তাদের, ‘আমরা অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি। আমরা অনেক স্বপ্নও দেখেছি এটা নিয়ে। আমরা তীব্র লড়াই করেছি।’
ধৈর্য ও হার না মানা মানসিকতার সমন্বয়ে এই সাফল্য এসেছে বলে উল্লেখ করেন দি মারিয়া, ‘অনেকেই বলেছিল, আমরা এটা করতে পারব না। আমাদের অনেক সমালোচনা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দরজায় কড়া নাড়া চালিয়ে গেছি। আজ আমরা তা ভাঙতে পেরেছি এবং ভেতরে প্রবেশ করেছি।’
Comments