গোল উৎসব করে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ

ছবি: টুইটার

শিরোপা পুনরুদ্ধারের জন্য কেবল এক পয়েন্ট পেলেই চলত রিয়াল মাদ্রিদের। তবে প্রস্তুত থাকা উৎসবের মঞ্চে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা কোনো ছাড় দিল না এস্পানিয়লকে। স্প্যানিশ লা লিগার ২০২১-২২ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সে বড় ব্যবধানে জিতল তারা।

শনিবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৪-০ গোলে জিতেছে আসরের সফলতম ক্লাব রিয়াল। স্পেনের পেশাদার ফুটবলের শীর্ষ স্তরে এটি তাদের ৩৫তম শিরোপা। নিজেদের রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করল লস ব্লাঙ্কোসরা। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা লা লিগার শিরোপা জিতেছে ২৬ বার।

ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগকে সামনে রেখে তারকা খেলোয়াড়দের অনেককে বিশ্রাম দেওয়া হয়। কিন্তু এস্পানিয়লকে গোলবন্যায় ভাসাতে কোনো সমস্যা হয়নি রিয়ালের। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন রদ্রিগো। বিরতির পর ব্যবধান বাড়ান মার্কো আসেনসিও ও বদলি নামা করিম বেনজেমা।

১৯৩১-৩২ মৌসুমে প্রথমবার লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রিয়াল। সবশেষ তারা সেরা হয়েছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে। গতবার লিগের শিরোপা জিতেছিল তাদের শহর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। সর্বোচ্চ ৩৫ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ২৪ বার রানার্সআপও হয়েছে রিয়াল।

আসরের চার রাউন্ড বাকি থাকতে ৩৪ ম্যাচে রিয়ালের অর্জন ৮১ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা সেভিয়া পিছিয়ে আছে ১৭ পয়েন্টে। সমান ম্যাচে তারা পেয়েছে ৬৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে তিনে থাকা বার্সেলোনার নামের পাশে রয়েছে ৬৩ পয়েন্ট। অ্যাতলেতিকো ৩৩ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।

৫৮ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখা রিয়াল প্রতিপক্ষের গোলমুখে ১১টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে পাঁচটি। অন্যদিকে, এস্পানিয়ল আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। তাদের ২০টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ছয়টি।

ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টায় প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে এস্পানিয়ল। রিয়ালও সুযোগ তৈরি করলেও একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছিল না। তবে ৩৩তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় তারা। মার্সেলোর সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে জাল খুঁজে নেন রদ্রিগো। এরপর আর থামানো যায়নি স্বাগতিকদের।

দশ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। প্রতিপক্ষের নড়বড়ে ভাবের সুযোগে বল পেয়ে গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজকে বোকা বানিয়ে নিশানা ভেদ করেন তিনি। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রিয়ালের জয় একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন স্প্যানিশ উইঙ্গার আসেনসিও। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা আসেনসিওকে। বাকিটা সারতে কোনো ভুল করেননি তিনি। তার শট দূরের পোস্টের ভেতরে লেগে জালে জড়ায়।

৬০তম মিনিটে বদলি নামা ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমা ৮১তম মিনিটে গোলের স্বাদ নেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাছ থেকে বল পেয়ে নিখুঁত শটে লোপেজকে ফাঁকি দেন তিনি। লিগে এটি তার ২৬তম গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তিনি অবস্থান করছেন শীর্ষে। কিছু সময় পর শেষ বাঁশি বেজে উঠলে উল্লাসে ফেটে পড়ে রিয়ালের সমর্থকরা।
 

Comments

The Daily Star  | English
Interest rate on loans by sector

High interest rates threaten SME jobs, stability

Banks charge SMEs interest rates ranging between 13 and 15 percent, among the highest across all sectors except services.

9h ago