ঘরের মাঠে হেরে মৌসুম শেষ করল বার্সেলোনা

চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। এমনকি নিজেদের অবস্থানটাও নিশ্চিত আগে থেকেই। তারপর লা লিগায় নিজেদের শেষ ম্যাচটা ছিল মর্যাদার। কিন্তু তা রক্ষা করতে পারেনি ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। শেষ ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের কাছে হেরে হতাশা নিয়েই আসর শেষ করেছে দলটি।
রোববার রাতে ন্যু ক্যাম্পে লা লিগার শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। দুই অর্ধে একটি করে গোল দেয় হলুদ জার্সি ধারীরা।
বার্সেলোনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভিয়ারিয়ালের জন্য। এ জয়ে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চমক দেখানো দলটির ইউরোপিয়ান কনফারেন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে। যদিও একই সময়ের অপর ম্যাচে সেভিয়ার কাছে গেছে অ্যাথলেতিক বিলবাও।
৩৮ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়েই আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। গত ১৪ বছরে লা লিগায় এটাই তাদের এতো কম সংগ্রহ। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে শেষ করেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। চতুর্থ স্থানে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ৭০।
পাঁচ ও ছয় নম্বরে থেকে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল বেতিস ও রিয়াল সোসিয়েদাদ। আর লা লিগা থেকে অবনমন হয়েছে গ্রানাদা, লেভান্তে ও দিপোর্তিভো আলাভেসের।
তবে এদিন বরাবরের মতো মাঝমাঠের দখল ঠিকই ছিল বার্সেলোনার। ম্যাচের ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শটও নেয় ১৪টি। যারমধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মাত্র ৪টি শটের ৩টি লক্ষ্যে রকেহে দুটি গোল আদায় করে নেয় ভিয়ারিয়াল।
অথচ ম্যাচে প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই তিনটি গোল পেতে পারতো বার্সা। অনেকটা ফাঁকায় সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আদামা ত্রাওরে, ফ্র্যাংকি ডি ইয়ং, সের্জিও বুসকেতসরা। উল্টো ধারার বিপরীতে ৪১তম মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারী দলটি। দানি পারেহোর বাড়ানো বল ধরে লক্ষ্যভেদ করেন আলফোন্সো পেদ্রাসা।
বিরতির আগে সমতায় ফেরার সুজহ ছিল বার্সার। ফেরান তোরেসের ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। ৫২তম মিনিটে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। তবে ঘটনাটি দাগের বাইরে হওয়ায় ভিএআরে বদলে যায় সিদ্ধান্ত। এর দুই মিনিট পর শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় ভিয়ারিয়াল। ডি-বক্সে ত্রাওরে ঠিকভাবে বল পরিষ্কার করতে না পারায় পেয়ে যান লক্ষ্যভেদ করে মোই গোমেস।
৭৩তম মিনিটে অবশ্য বল জালে পাঠিয়েছিল বার্সা। তবে অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। মিনিট খানেক পর দেম্বেলের প্রচেষ্টা ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশা বাড়ে দলটির। এরপর আর তেমন স্পষ্ট কোনো সুযোগ তৈরি না করতে পারলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
Comments