জিকোর বীরত্বের পরও বাহরাইনের কাছে বাংলাদেশের হার

সবশেষ প্রীতি ম্যাচে আনিসুর রহমান জিকোর নৈপুণ্যে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আরও একবার বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষক দেখালেন নজরকাড়া পারফরম্যান্স। একটি-দুটি নয়, দশ-দশটি সেভ করলেন তিনি। কিন্তু তার এই বীরত্বও যথেষ্ট হলো না। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৯৯ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের কাছে হেরে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শুরু করল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
বুধবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাছাইয়ের 'ই' গ্রুপের ম্যাচে শক্তিশালী বাহরাইনের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। বুকিত জালিল জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮৯তম স্থানে থাকা দলটির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলি আবদুল্লাহ হারাম ও হাসান আল আসওয়াদ। দুটি গোলই হয়েছে একপেশে লড়াইয়ের প্রথমার্ধে। ম্যাচ জুড়ে আক্রমণ সামলাতে ব্যতিব্যস্ত থাকলেও বিরতির পর আর কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ।
অতীতে কেবল একবারই দুই দলের দেখা হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্টস কাপে একই ব্যবধানে বাহরাইনের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। ৪৩ বছর আগে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচের ভেন্যু ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল।

বাহরাইনের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের সঙ্গে মূলত লড়াই হয়েছে বাংলার বাজপাখি খ্যাত গোলরক্ষক জিকোর। তিনি বাধার দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান হতো বিশাল। হারাম ও আসওয়াদ নিশানা ভেদ করতে পারলেও আবদুল্লাহ ইউসুফ হেলাল, মাহদি ফয়সাল আল হুমাইদিন, আলি জাফর মাদানদের গোলের উল্লাস করতে দেননি জিকো। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে তাকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন হেলাল। কিন্তু ডি-বক্সের ভেতর থেকে এই স্ট্রাইকারের নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন জিকো।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় সামর্থ্য ও দক্ষতায় এগিয়ে থাকা বাহরাইন। আসওয়াদের কর্নারে কাছের পোস্ট থেকে জোরালো হেডে জাল কাঁপান ফাঁকায় থাকা হারাম। জিকোর কোনো সুযোগই ছিল না বল রুখে দেওয়ার। আট মিনিট পর ব্যবধান বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। তাদের আক্রমণ বাংলাদেশ পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে না পারলে ডি-বক্সের বাইরে বল পান আসওয়াদ। তার বাঁ পায়ের দূরপাল্লার গড়ানো শট ঝাঁপিয়ে পড়া জিকোকে ফাঁকি দিয়ে পৌঁছায় জালে।
বাহরাইনের গোলমুখে বাংলাদেশ ভীতি ছড়াতে পারেনি বললেই চলে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টাটির দেখা মেলে ম্যাচের ৩১তম মিনিটে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় মাঠের বাইরে।
আগামী ১১ জুন বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ জুন শেষ ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মালয়েশিয়া। দুটি ম্যাচেরই ভেন্যু বুকিত জালিল জাতীয় স্টেডিয়াম।
Comments