দেশে ফিরে গেলেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা

ম্যাচের বয়স তখন চার মিনিট। হঠাৎই তখন নিরাপত্তা বিভাগের লোকজন নিয়ে মাঠে চলে আসেন ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তারা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে আটক করা শুরু হয় নাটক। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হয় স্থগিত। মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলই ছেড়েছে দলটি। মধ্যরাতে ইজেইজায় পৌঁছেছে তারা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে আসা চার আর্জেন্টাইন -অ্যাস্টন ভিলার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও এমিলিয়ানো মার্তিনেজ এবং টটেনহ্যাম হটস্পার্সের জিওভান্নি লো সেলসো ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরোকে আগের দিনই ব্রাজিল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু তাদের নির্দেশ অমান্য করে মাঠে নামায় তৈরি হয় যতো বিপত্তি। এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়।
করোনাভাইরাসের ব্রাজিলিয়ান নিয়ম অনুযায়ী ব্রিটেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে সরাসরি প্রবেশের অনুমতি নেই ব্রাজিলের বাইরের লোকদের। বিশেষ ক্ষেত্রে বিষয়টিতে ছাড় দেওয়া হয়। তাও ব্রাজিলে প্রবেশের আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হয় তাদের।
এখন মূল বিষয়টি আটকে আছে রেফারির প্রতিবেদনের উপর। কারণ তার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেবে কনমেবল। ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ আয়োজন করতে ব্যর্থ হওয়ায় আর্জেন্টিনাকে তিন পয়েন্ট দেওয়া হতে পারে।
ব্রাজিলে ফেরার প্রসঙ্গ নিয়ে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের ভাই আলেহান্দ্রো মার্তিনেজ রিভাদাভিয়া রেডিওকে বলেছেন, 'একটা জিনিসই শুধু সে (এমিলিয়ানো) জানে, সেটা হলো ব্রাজিল থেকে ক্রোয়েশিয়া যেতে পারবে না। তাই তাকে আর্জেন্টিনা ফিরতেই হতো।'
মার্তিনেজ ও তার ক্লাব সতীর্থ বুয়েন্দিয়াকে ইংল্যান্ডে ফিরে শুরু থেকে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলতে হলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে তাদের। তাই দেশের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচ খেলার পর ক্রোয়েশিয়ায় যাওয়ার আশ্বাস দিয়েই ফিরেছেন তারা। সেক্ষেত্রে সেখানে ১০ দিন অনুশীলন চালিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে ক্লাবের হয়ে খেলতে পারবেন তারা।
Comments