নাপোলিকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় বার্সেলোনা

ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ। ১৩ মিনিটেই দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। কম যায়নি নাপোলিও। ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলে দলটি। কিন্তু পরে আরও দুটি গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা। দাপুটে লড়াইয়ে এরপর ব্যবধান কমাতে পারলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নাপোলি। অসাধারণ লড়াই শেষে অবশ্য শেষ হাসি হেসেছে কাতালানরাই।

বৃহস্পতিবার রাতে দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে নাপোলিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করলে জাভি হার্নান্দেজের দল। বার্সেলোনার হয়ে গোল পেয়েছেন জর্দি আলবা, ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং, জেরার্দ পিকে ও পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। নাপোলির হয়ে গোল দুটি করেন লরেন্সো ইনসিনিয়ে ও মাত্তেও পলিতানো।

৫৬ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে এদিন ১৬টি শট নেয় বার্সেলোনা। যার মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৭টি শট নিতে পারে নাপোলি। যার মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে দলটি। তবে ম্যাচে যে ভাবে আক্রমণ করেছে দল দুটি, ফরোয়ার্ডরা ব্যর্থ না হলে গোলের সংখ্যা বাড়তে পারতো আরও বেশ কিছুই।

ম্যাচের শুরুতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণ থামানোর বাণী দেয় দুই দল। মাঠে একত্রে 'স্টপ ওয়ার' লেখা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান দুই দলের খেলোয়াড়রা।

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে ডান প্রান্তে ফাঁকায় থাকা আলবাকে পাস দেন আদামা ত্রাওরে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে নিখুঁত এক শটে বল জালে পাঠান এ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। পাঁচ মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ায় দলটি। ফেরান তোরেসের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক চিপে জাল খুঁজে নেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং।

২৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমায় নাপোলি। ভিক্টর ওসিমহেনকে ডি-বক্সের প্রান্তে ফাউল করেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। শুরুতে ফ্রি-কিক দিলেও পরে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি ইনিসিনিয়ের।

বিরতির ঠিক আগে ফের দুই গোলের লিড পায় বার্সেলোনা। কর্নার প্রতিপক্ষ ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পারায় বল পেয়ে পিকের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান আলবা। বাঁ পায়ের গড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ৫৯তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় দলটি। ত্রাওরের কাছ থেকে বল পেয়ে অসাধারণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন অবামেয়াং।

নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে ব্যবধান কমায় নাপোলি। নিজেদের প্রান্তে সফরকারীরা বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে পেয়ে যান পলিতানো। দারুণ এক কোণাকোণি শটে জালে পাঠান তিনি। এরপরও দুই দল বেশ কিছুই সুযোগ পেলেও বল জালের দেখা না পেলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

Comments