নেইমারের গোলে জাপানকে হারাল ব্রাজিল

আগের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিলেও জাপানের বিপক্ষে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ল ব্রাজিল। ম্যাচে একচেটিয়া প্রাধান্য দেখালেও চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়টায় সব সয়ে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের লম্বা সময় আটকে রেখেছিল জাপান। শেষ পর্যন্ত নেইমারের দেওয়া গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তিতের দল।
সোমবার টোকির জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে জাপানকে ১-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেন নেইমার। অথচ গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ব্রাজিল বিধ্বস্ত করেছিল ৫-১ গোলে।
এদিন খেলার শুরু থেকেই বল দখল, আক্রমণ, গোলমুখে শট সব কিছুতেই দাপট ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় অনেকটা সময়। ম্যাচে ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলমুখে ৮ শটের ৫টাই লক্ষ্যে রেখেছিল ব্রাজিল। জাপান চার শটের কোনটাই রাখতে পারেনি লক্ষ্যে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে পাকুয়েতার নেওয়া শট লাগে বারে।

১১ মিনিটে রাফিনহা ও পাকুয়েতা নিজেদের মধ্যে বল বিনিময় করে নেইমারের জন্য জায়গা বানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু জাপানি ডিফেন্ডাররা সেই প্রচেষ্টা থামিয়ে দেন। ১৯ মিনিটে আলভেজের পাস ধরে এগিয়ে গেলেও রাফিনহার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
২৭ মিনিটে আসে আরেকটি দারুণ সুযোগ। ডানপ্রান্তে পাকুয়েতার কাছ থেকে বল পেয়ে নিজের চেনা মুন্সিয়ানায় চোখ ধাঁধানো শট নিয়েছিলেন নেইমার। বা দিকে ঝাঁপিয়ে তা ঠেকিয়ে দেন জাপানি গোলরক্ষক গন্ডা। এরপরের কয়েকমিনিটেও একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। কিন্তু সবগুলো আক্রমণই গিয়ে খেই হারায় জাপানের ডি বক্সে।
বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া ব্রাজিল আক্রমণের আরও ধার বাড়িয়ে দেয়। ৫৩ মিনিটে পাকুয়েতার ক্রস খুঁজে নিয়েছিল ফ্রেডকে। তার পা থেকে বল পান নেইমার। নেইমারের বা পায়ের চেষ্টা আটকে যায় জাপানি ডিফেন্ডার এন্দুর প্রতিরোধে। ৫৬ মিনিটে আসে আবারও সুযোগ। এবার রাফিনহার বল ধরে নেইমারের চেষ্টা চলে যায় বাইরে।

অবশেষে ৭৭ মিনিটে আসে কাঙ্খিত গোলের দেখা। পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে জাপানি বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলের একাধিক খেলোয়াড়। তৈরি হয় গোলের সুযোগ। রিচার্লিসনের ফ্লিক ধরে নেইমার আবার তাকে দেন পাস। ফিরতে বলে রিচার্লিসনের নেওয়া শট গিয়ে লাগে বারে। কিন্তু পাস দেওয়ার আগে নেইমারকে ফাউল করে বসেন জাপানি ডিফেন্ডার। বারে লাগার হতাশা নেইমারদের তাই কেটে যায় পেনাল্টি পাওয়ার আনন্দে। এমন সুযোগ একদম হতাছাড়া করেননি নেইমার। গোল দেওয়ার তিন মিনিট পরই অবশ্য প্রতিপক্ষকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার।
ম্যাচের শেষ দিকে খেলায় ফিরতে খেলায় ফিরতে কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। নিজেদের মাঠে ভরা গ্যালারির সামনে ব্রাজিলের ডিফেন্সে দু'একবার ভীতি ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরি করে তারা। তবে আর বলার মতো সুযোগ আসেনি। ব্রাজিলও বাড়াতে পারেনি ব্যবধান।
Comments